নিকাশি নালার পাইপে রঙ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করতে নামেন আরেকজন। সহকর্মীদের উদ্বার করলেও নিজেকে উদ্ধার করতে না পেরে পাইপেই আটকে পড়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন সাহিন গাজি নামে বছর কুড়ির ওই তরুণ শ্রমিক। পরিশোধন প্ল্যান্টের অভ্যন্তরীণ কাজে অক্সিজেন মাস্ক, সেফটি বেল্ট, ওয়াটার প্রুফ চশমা, হেলমেট ইত্যাদি রাখা প্রয়োজন যার কিছুই ছিলনা ওই শ্রমিকদের কাছে বলেই দুর্ঘটনা ঘটল বলে দাবি করেছেন অনেকে।

কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত বানতলা চর্মনগরীর পুরোনো জলের পরিশোধনের পাশাপাশি কেএমডিএর তত্ত্বাবধানে আরেকটি জল পরিশোধন প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। নোংরা জল পরিশোধনের জন্য ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন নির্মিত হয়েছে। আর ওই পাইপলাইনের সাথে যুক্ত ম্যানহোলগুলি রঙ করতে পাইপের ভেতরে ঢুকে রঙ করতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবির ও নাসির নামে দুই শ্রমিক। তাদের চিৎকার শুনে সাহায্য করতে নীচে নামেন সাহিন ও তাদের উদ্ধার করে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সাহিন আটকে পড়েন ওখানেই। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এসেও কাজ না হওয়ায় জেসিবি এনে পাইপ ভেঙে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাহিনকে। তড়িঘড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।