২০২০ এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে কলকাতায় অপরাধের পরিমাণ সবথেকে কম। ভারতের সবথেকে বড় ১৯ টি শহরের মধ্যে অপরাধের তালিকায় সবথেকে ভালো শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কলকাতা। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও কলকাতা সবথেকে ভালো শহর। কলকাতাতেই প্রবীণ নাগরিকদে উপরে অপরাধের পরিমাণ সবথেকে কম। ২০২০ সালে কলকাতায় প্রবীণ নাগরিকদের উপরে অপরাধের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০, যা নিঃসন্দেহে কলকাতার জন্য একটি অত্যন্ত ভালো রেকর্ড। যদিও, এই সংখ্যা ২০১৯ এর তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই তালিকায় দিল্লিতে প্রবীণ নাগরিকদের উপরে অপরাধের সংখ্যা ৯০৮, মুম্বাইয়ে এই সংখ্যাটা ৮৪৪ এবং চেন্নাইয়ে ৩২১।
অন্যদিকে, কলকাতায় চার্জশিটের হার সবথেকে বেশি। বর্তমানে, অপরাধের হিসেবে চার্জশিটের হার কলকাতায় ৯৬.১। ইন্দরে এই হার ৯৩.৯ এবং কোচিতে ৯২.৬। কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু প্রোগ্রামের কারনেও এই সুফল লাভ করছে কলকাতা। যখন করোনাভাইরাস এর প্রথম ঢেউ এসেছিল, সেই সময় কলকাতার সমস্ত প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। এখান থেকেও তাদের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। কলকাতায় ২ টি খুন এবং ২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে, দিল্লিতে ১৫ টি খুন এবং ৫৮ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের প্রণাম কর্মসূচিটি কলকাতা পুলিশের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল। কলকাতা শহরের বহু প্রবীণ নাগরিক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। করোনাভাইরাস এর সময়ও কলকাতার বেশ কিছু প্রবীণ নাগরিকের উপরে অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু দিল্লি এবং অন্যান্য শহরের তুলনায় এই সংখ্যাটা কার্যত নগণ্য। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু কলকাতার প্রবীণ নাগরিকরা ততটা টেকনোলজির সঙ্গে অবগত নন, তাই তাদের জন্য বেশকিছু অফলাইন ক্যাম্পেইন চালু করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এই সমস্ত ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন অপরাধের ব্যাপারে সচেতন করাই লক্ষ্য কলকাতা পুলিশের।