দূর সফরে কিংবা রাতভর নিশ্চিন্ত ঘুমের প্রত্যাশায় শিশুদের ডায়াপার পরিয়ে রাখার চল আছেই। ঘনঘন পোশাক বদল কিংবা ঘর নোংরার হাত থেকে রেহাই পেতে শিশুদের হামেশাই ডায়াপার পরান মায়েরা। ব্যস্ত জীবনে কিছুটা তো স্বস্তি! এবার ঘোড়ার জন্য ডায়াপার! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) 'ক্লিন সিটি' প্রকল্পের আওতায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এমনই এক অভিনব প্রচেষ্টার কথা জানা গেলে। যত্রতত্র এবার ঘোড়ার বর্জ্যত্যাগে রীতিমতো লাগাম পরানো হল।
বিষয়টি ঠিক কী? কলকাতার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত দর্শক ভিড় জমান এই ভিক্টোরিয়ার সামনে। অনেকেই একসঙ্গে ঘোড়ায় টানা এক্কাগাড়িতে চড়ে ভ্রমণ করেন। কখনও রেড রোড, কিংবা কখনও ময়দানের চত্বরে চলে ঠকঠক ঝমঝম ঘোড়ার গাড়ির শব্দ। সেই সঙ্গে এত সুন্দর দৃশ্যাবলীর মধ্যেও যত্রতত্র ঘোড়ার বর্জ্য পড়ে থাকায় যেমন ছড়ায় 'সুবাস', তেমনি দৃশ্য দূষণও বটে! কলকাতা পুলিশের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই এর উপায়ের খোঁজ চলছিল। এবার এল এই অভিনব উদ্যোগ।
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, "কী উপায়? খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, পৃথিবীর নানা দেশে এই সমস্যার একটাই সমাধান -- 'ডায়াপার'! ভাবছেন ঠাট্টা করছি? একেবারেই নয়। চাইলে অনলাইন বিপণি থেকে অর্ডার পর্যন্ত করতে পারেন চমৎকার এই জিনিসটি। সুতরাং আর দেরি নয়, আনাও 'ডায়াপার'! এবার থেকে ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে সুসভ্য ডায়াপার পরিহিত অশ্বের পাল দেখলে আশ্চর্য হবেন না।" আর ময়দানের চত্বরে দেখা যাবে না ঘোড়ার বর্জ্য কিংবা নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে পাশ কাটিয়ে হেঁটে যেতে হবে না। কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। শহরের 'ফুসফুস'-কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তার যত্ন নেওয়া সকলেরই কর্তব্য বলেছেন সচেতন নেটাগরিকদের একাংশ।