রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Clash) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করল আদালত (Kolkata High Court)। রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ৭টি ভিন্নভিন্ন পিটিশান দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। এদিন একসঙ্গে সবক’টি আবেদনের শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই ঘটনাকে সিরিয়াস ক্রাইম বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দেন।
আদালতের বক্তব্য, "এখনও পর্যন্ত তদন্তের কী অগ্রগতি, তা বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সিটকে জমা দিতে হবে আদালতে। সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হবে। যাতে কোনও ভাবেই তথ্য প্রমাণ লোপাট করা না যায়, এবং এই গোটা প্রক্রিয়া চলবে পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারকের তত্ত্বাবধানে।"
হাইকোর্টের তরফে আরও জানান হয়েছে, "ডিজি, আইজিপি, পূর্ব বর্ধমান জেলা জজের পরামর্শে ওখানকার গ্রামবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনহারাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সিটকে বগটুই কান্ডের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বগটুই গ্রামের ঘটনার দিকে নজর রাখছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। ইতিমধ্যেই বগটুই কান্ডে ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের ফরেন্সিক দল আজ রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন। তবে কলকাতা হাইকোর্টে আজ সমস্ত মামলার শুনানির পর, প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবেরেটরির প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে।