পুজোর আগেই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিলই পরিস্থিতি লাগামছাড়া হলেই হু হু করে বাড়বে করোনা (Covid-19) সংক্রমণ। তৈরি হবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। বারবার সতর্ক করার পরেও পুজোর সময় মানুষের বেপরোয়া মনোভাব এবং সরকার ও প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাবের ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে গত দিন কয়েকের কোভিড সংক্রমণ সেকথাই প্রমাণ করে। কুম্ভমেলা কিংবা কেরলের ওনাম উৎসব থেকেও শিক্ষা না নিয়ে দুর্গাপুজোর সময় মানুষের বেলাগাম মনোভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে, তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
পুজোর পরে প্রত্যাশা মতোই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ কলকাতায় (Kolkata)। গত ২৪ ঘন্টায় গোটা রাজ্যের সংক্রমণ প্রায় এক হাজারের দোরগোড়ায়। তার মধ্যে কেবল শহর কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪৯ জন অর্থাৎ মোট সংক্রমণের প্রায় ৫০ শতাংশই কেবল কলকাতাতেই। বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই ৪৪৯ জনের মধ্যে ৩১৮ জন কলকাতা পুরসভা এলাকার মানুষ এবং ১৩১ জন পুরসভার বাইরের মানুষ। এদের মধ্যে ২২ জনের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া। সবচেয়ে আশ্চর্যের আক্রান্তের ১৯৪ জন ইতিমধ্যেই টিকার দু'টি ডোজ নিয়েছেন। ৫৬ জন এমন আক্রান্ত যাঁরা টিকার কোন ডোজই নেননি। আক্রান্তের একটা বড় অংশ উপসর্গহীন। ২৫৭ জনের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই ৩৫ জনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুরসভা। নতুন করে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি হয়েছে। চলছে রাত্রিকালীন নাকা চেকিং। পুজোর সময় নৈশকালীন কার্ফু বন্ধ থাকলেও ফের সেই কার্ফু চালু হয়েছে। নৈশকালীন বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করায় ৩১২ জন বাইক আরোহীকে জরিমানা করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে নতুন করে জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। বলা হয়েছে রাত সাড়ে ১০ টার পর খোলা যাবে রাখা না রেঁস্তোরা - পানশালা। রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত থাকবে নৈশকালীন বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ সমস্ত থানাকে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেও খবর।