প্রবল শীতের দাপট নিয়েই কলকাতা পুরসভার (KMC Election) ১৬ টি বরোর ১৪৪ টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭ টা থেকে। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। মোট ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫৭ জন ভোটারের হাতে আজ মোট ৯৫০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথকেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার অভিযোগ উঠেছে। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়ার (Garia) ব্রিজি এলাকায় সিপিএমের এজেন্টকে বসতে আ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী তনুশ্রী মণ্ডল এসে তাঁর দলের এজেন্টকে বসিয়ে দিয়ে গেছেন বলে খবর। বিভিন্ন বুথের সিসিটিভি কাজ করছে না বলে নির্বাচনের শুরু থেকেই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। কোথাও সিসিটিভি ফুটেজ ঢেকে রাখার কিংবা অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ গায়ে মেখে সকাল থেকেই শহরের মানুষ ভোটকেন্দ্রমুখী হয়েছেন বলে খবর। ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪,৯৫৯ টি। প্রায় ২৩ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ। রয়েছে ১১ হাজার সশস্ত্র বাহিনী। প্রতিটি বুথে অন্তত ৩ থেকে ৪ জন পুলিশ বা সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১,১৩৯ টি। ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।
নির্বাচনের শুরুতে শিয়ালদহের টাকি গার্লস স্কুলে কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কংগ্রেসের এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেলেঘাটা খান্না হাইস্কুলে সিসিটিভি ফুটেজ ঢেকে রাখার অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। যদিও সেই অভিযোগও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের সামনে ফিরহাদ হাকিমের ছবির হোর্ডিং নিয়ে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের নির্দেশে সেই হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়।
কলকাতা পুরভোটের মধ্যেই সকাল সকাল জোড়াসাঁকোর একটি বুথের সামনে শাড়ির গুদামে আগুন লেগে যায়। সকাল ৬ টা নাগাদ এই আগুন লেগেছিল বলে সূত্রের খবর। দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর। রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সস্ত্রীক সকাল ১১ টার সময় ভোট দিতে যাবেন বলে খবর। এক টুইট বার্তায় এমন কথা জানিয়েছেন তিনি। সকাল থেকেই ভোটের বাদ্যি শুরু হয়েছে শহর কলকাতায়। এখনও পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া আপাতত নির্বিঘ্নে পুরভোট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন দিকে যায়, তাই এখন দেখার বিষয়।