রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, এজেসি স্ট্রিট, থিয়েটার রোড-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে গিয়েছে। জল থইথই করছে বেহালা, সার্দান অ্যাভিনিউয়ের মতো জায়গায়। এদিকে শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টির ধারাপাত দেখবে বাংলা। দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গ ভিজবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প আমদানির ফলে ১৮ তারিখ রাজ্যের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। জানা গিয়েছে, গঙ্গার জলস্তর ১৪ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেজন্য কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গঙ্গায় জোয়ার আসবে। সেই কারণে লকগেটগুলি বিকেল ৪টের সঙ্গে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে গঙ্গার জলস্তর বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে যদি আবার বৃষ্টি আসে, তাহলে শহরের রাস্তা ফের জলমগ্ন হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে ১৯ তারিখ অর্থাৎ শনিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ তারিখ ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম,পশ্চিম বর্ধমান,মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। কলকাতা সহ উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতেও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় জল জমার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। আজ শহরের জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, যে সব ঠিকাদার সময়মতো কাজ শেষ করবে না, তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, শহরের জল দুর্ভোগের ছবি এদিন ঘুরে দেখেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কিছু নিচু এলাকায় জল জমেছে। চেতলা, বেহালা খিদিরপুর, এখানে কো-অর্ডিনেটরদের বলেছি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করতে। খাবার দিতে।"