পুজোর পরেও কলকাতায় ডেঙ্গু সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩ বছরের তুলনায় কলকাতায় এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৮০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়া কলকাতা পুরসভা।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক সোমবার জানিয়েছেন, "২০১৯ সালে শহরে এই সময়ের মধ্যে ১৬৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ের মধ্যে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও এত সংক্রমণ হয়নি। ২০১৮ সালের পর থেকে এই প্রথম এত লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।"
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ডেঙ্গুর মূলত তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপ বা ‘ফেব্রাইল ফেজ’। দ্বিতীয় ধাপে ‘ক্রিটিক্যাল ফেজ’। এবং তৃতীয় ধাপে রিকভারি বা ক্রমশ সুস্থ হওয়ার সময়। এই তিনটি ধাপের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ সবচেয়ে কঠিন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ, জ্বর শুরু এবং ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়া থেকে শুরু করে অন্তত আটদিন কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে রোগীদের। জ্বর কমলেও সতর্ক থাকতে হবে। এমনকী জ্বর কমে যাওয়ার পর যদি হঠাৎ মাথা ঘোরে, বমি হয় বা রক্তচাপ কমে যায় সেক্ষেত্রেও দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করতে হবে।