বাড়িতে একাই থাকতেন মধ্যবয়সী মানুষটি। দিন কয়েক বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না মেয়ে। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগের পর বাবার বাড়িতে এসে রীতিমতোই থ কন্যা। মাথা থেঁতলানো অবস্থায় নিজের বাথরুমে পড়ে তিনি। চারদিকে চাপ চাপ রক্ত। যদিও প্রাণ আর নেই। একা বেঘোরে এইভাবে বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কন্যা।
ঘটনাটি কলকাতার (Kolkata) হরিদেবপুরের। এই এলাকার জিয়াদার গোট অঞ্চলে থাকতেন বছর ৪৩-র এক ব্যক্তি বাপ্পা ভট্টাচার্য। তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। কাজ করতেন একটি চা পাতা কোম্পানিতে। গত তিনদিন তাঁর সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর মেয়ে। পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাবার বাড়িতে এসে দেখেন, তিনি আর নেই। নিজের বাড়ির বাথরুমে পড়ে আছেন। মাথা থেঁতলানো, চারদিকে রক্তের দাগ।
ঘরের ভেতর লন্ডভন্ড কান্ড। বিছানাপত্তর এদিক ওদিক ছড়ানো। মেঝেতেও রক্তের দাগ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বাপ্পা ভট্টাচার্যকে খুন করা হয়েছে। কারণ তাঁর শরীরে অনেকগুলি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কে বা কারা খুন করল এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই খুনের কিনারা হবে বলে সূত্রের খবর।
মৃত বাপ্পা ভট্টাচার্যের মেয়ে জানিয়েছেন, তাঁর বাবার কাছে দু'জন বন্ধুর আসার কথা ছিল। তাঁরা কোনভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কী না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।