মঙ্গলবার ৮৩ বক্সে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কলকাতায় এসে গেলো মোস্ট ওয়ান্টেড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। সেখান থেকে ইনসুলেটেড ভ্যানে করে বাগবাজার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হলো এই মহৌষধি। এখান থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের মোট ৯৪১ টি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার ভ্যাকসিন ডোজ আনা হয়েছে। তারমধ্যে কলকাতা পাবে ৯৩ হাজার ভ্যাকসিনের ফাইল। মঙ্গলবার এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম এবং উত্তরবঙ্গের কিছু মেডিকেল কলেজে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু করে দেওয়া হবে করোনা টিকাকরন।
প্রথম পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে করোনা যোদ্ধাদের। করোনাভাইরাস হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন পুলিশকর্মীরা। তৃতীয় পর্যায় টিকা দেওয়া হবে সরকারি আধিকারিকদের। চতুর্থ পর্যায়তে টিকা দেওয়া হবে ৫০ বছরের বেশি সকল মানুষদের এবং ৫০ এর নিচের যাদের কো - মর্বিডিটি আছে। সবশেষে পঞ্চম পর্যায় সাধারণ মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছেন। তবে যতদিনে সাধারণ মানুষের পালা আসবে ততদিনে আরো বেশ কিছু করোনা ভাইরাসের টিকা বাজারে চলে আসবে। আপনাদের টিকা গ্রহণ করতে হলে কো - উইন অ্যাপ্লিকেশনে সমস্ত তথ্য দিতে হবে আপনার। তবে এখনই কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়নি। আপাতত সরকারি স্তরে এই টিকা নিয়ে আলোচনা চলছে। বুধ ভিত্তিক তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগে নাম নথিভুক্ত করে আসবেন। তারপরে আপনারা জানতে পারবেন কখন কোথায় টিকা দেওয়া হবে।