হোমওয়ার্ক করতে পারেনি খুদে ছাত্রটি। তাই বলে দিদিমণির হাতে এমন মার খেল হাতে দগদগে কালশিটে দাগ। পায়েও কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে, দাবি পড়ুয়ার বাবা-মায়ের। শহরের নামজাদা স্কুলের একজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল।
যোধপুরপার্ক বয়েজ স্কুল। শহরের অত্যন্ত নামী স্কুল। হোমওয়ার্ক না করায় এক পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল। মারের চোটে পড়ুয়ার হাতে-পায়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছে, এমনটাই দাবি করছেন তার বাবা-মা। বাড়ি গিয়ে যন্ত্রণায় কাতর, আতঙ্কে সে স্কুলমুখো হতে চাইছে না। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি ফিরে সে নাকি বমিও করেছে। এরপরেই পড়ুয়ার বাবা-মা চিকিৎসকের কাছে যান এবং সেই শিক্ষিকার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের উপর শারীরিক অত্যাচার দণ্ডনীয় অপরাধ। শহরের এমন নামজাদা স্কুলে এহেন ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। শাস্তির নানা উপায় আছে, তাই বলে এমন শাস্তি মেনে নিতে চাইছেন না একাংশ। একটা সময় স্কুলজীবনে পড়া না পারলে, কোন দোষ করলে শাস্তি তো পেতেই হত। এখনও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ শাস্তি দেন। তবে এমন শাস্তির কথা শুনে সকলের চোখ কপালে। গোটা ঘটনায় শহরের বুকে ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষমা চেয়েছেন সেই শিক্ষিকা। পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন, সূত্র মারফত খবর। স্কুল থেকে ইতিমধ্যেই সেই শিক্ষিকাকে সতর্ক করা হয়েছে। দাবি উঠেছে, এমন শাস্তি বন্ধ হোক।