কত বছর আগে রবি ঠাকুর বলে গিয়েছিলেন, "চেয়ে দেখি, ঠোকাঠুকি বরগা-কড়িতে, /কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে।" সত্যিই তাই! নড়তে নড়তে কলকাতা (Kolkata) আরও এগিয়ে চলেছে। সেই কলকাতা পেল দেশের নিরাপদতম ও সুরক্ষিত শহরের তকমা। এই শহরে মহিলারা সুরক্ষিত।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রেকর্ড বেরিয়েছে। তাতে দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। সে তুলনায় দিল্লি, গুজরাটের আমেদাবাদ, সুরাট, উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, কানপুর, রাজস্থানের জয়পুর, মহারাষ্ট্রের মুম্বই অনেক পিছিয়ে। গত কয়েক বছরে শহর কলকাতায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অপরাধপ্রবণতা।
একটি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে কলকাতায় অপরাধের হার ৯২.৬। সেখানে ১৭৭১.৭। গুজরাতের আমেদাবাদে গুরুতর অপরাধের হার ৩৮৮.৩, সুরাতে ৭০০, উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে ৪৮৮.৬, কানপুরে ২৪৭.৮, রাজস্থানের জয়পুরে ৭৫৯.৫, মুম্বইয়ে ৩৪৫.৯, চেন্নাইয়ে ৫২৯.৯। গত বছর কলকাতায় মাত্র ৪৫ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অপরাধের ঘটনা অনেকটাই কম। রাজধানী দিল্লিতে গত বছর ৪৭২ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
রাতের কলকাতা মহিলাদের জন্য অনেকটাই সুরক্ষিত। রাতের কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম। দিল্লিতে প্রতিদিন অন্তত দু'জন নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। যা অতি উদ্বেগজনক। রাজধানীতে মহিলাদের উপর শারীরিক অত্যাচারের পরিসংখ্যান গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।