দোলযাত্রা (Dol Yatra) এবং হোলি (Holi) উপলক্ষে পরপর দু'দিনের ছুটি। সঙ্গে পরশু আবার রবিবার। টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে ঘরের বাইরে অনেকেই। বেড়াতে গেছেন দিঘা, পুরি কিংবা দার্জিলিং। বাঙালির তো উৎসবের শেষ নেই, কেবল একটু ছুঁতো পেলেই হল! এদিকে ছুটির মেজাজে আজ সকাল থেকেই লম্বা লাইন বাজার জুড়ে। বিশেষত মুরগি ও পাঁঠার দোকানে পা ফেলাই দস্তুর!
এই সুযোগে আড়াইশো ছুঁলো মুরগি (Chicken), আর সাড়ে সাতশোর ঘরে পাঁঠার মাংস (Mutton)। দাম বাড়ল তো কী হয়েছে? জমিয়ে আজ দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া চাই-ই চাই। সকাল থেকে মাংসের দোকানে লম্বা লাইন। ছুটির দিনে সরু চালের ভাতের সঙ্গে পাঁঠার মাংস না হলে কী জমে! কলকাতার বিভিন্ন বাজারে তাই সকাল থেকে চোখে পড়ার মতো ভিড়। অনেকেই তো মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে বাজার সেরে ফিরেছেন। যদি পরে গিয়ে পাঁঠার মাংস না পাওয়া যায়, সেই আশঙ্কায়। মুরগির দোকানেও লম্বা লাইন। এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম।
এদিকে মাছ বাজারেও যথেষ্ট ভিড়। ভবানীপুরের (Bhwanipore) যদুবাবুর বাজার কিংবা গড়িয়াহাট মার্কেট (Gariahat) সবেতেই সকাল থেকে ভিড় লেগেছে। ভেটকি, পাবদা, চিংড়ি কিংবা কাতলার দাম অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর ইলিশ তো হাতে দেওয়ার সাধ্যি নেই। বাজারে অবশ্য বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের আমদানি মন্দ নয়। পর্যাপ্ত মিলছে তোপসে কিংবা সার্ডিন। তবে ভোলা মাছের আমদানি বেশ কম। সঙ্গে মিলছে দেশি কই। দোলের দুপুরে তেল-কই পাতে ফেলতে হুমড়ে পড়ছে বাঙালি।
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের মূল্য। তাই জ্বালানির দামের হেরফেরে প্রভাব ফেলেছে পরিবহনে। বেড়েছে শাক-সব্জির মূল্য। এই সময়ে পটল ১০০-র উপরে, ঝিঙে উচ্ছে ৮০-র ঘরে, ভেন্ডি এখনও ১০০-র কাছাকাছি। তুলনায় সস্তা টম্যাটো ৩০-৪০ টাকা। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সর্বত্র জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এদিকে দোলের দিন মাংসের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদিও তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই বাঙালির। দাম যাই হোক, উৎসব আগে!