ধর্ষণ মামলার কিনারা করতে দময়ন্তী সেনকে (Damayanti Sen) ভরসা করল কলকাতা হাইকোর্ট। দেগঙ্গা-সহ একাধিক ধর্ষণ-কাণ্ডে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। মঙ্গলবার চারটি পৃথক ধর্ষণ-কাণ্ডের জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে একটি সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তার দায়িত্ব দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক দময়ন্তী সেনকে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া একাধিক ধর্ষণ-কাণ্ডে রীতিমতো উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলাগুলির শুনানি। সেখানেই আদালতের নির্দেশে গঠিত হয়েছে একটি সিট (SIT)। যার দায়িত্বে আছেন দময়ন্তী সেন। হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দময়ন্তী সেন বিগত মামলাগুলিতে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছেন। তাই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট মাটিয়া, মালদহের ইংরেজবাজার ধর্ষণ-কাণ্ডের রায় দিয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী এবং দেগঙ্গা ধর্ষণ-কাণ্ডের ঘটনায় হাইকোর্টের নজরদারিতে গঠিত স্পেশাল টিম তদন্ত করবে। তার জন্য একটি সিট গঠন করা হয়েছে। সেই সিটের দায়িত্বে থাকবেন দময়ন্তী সেন। পাশাপাশি এ-ও বলা হয়েছে দময়ন্তী সেন যদি এই নজরদারির দায়িত্ব নিতে না চান, তাহলে তাঁকে আদালতে জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, এক দশক আগে ঘটে যাওয়া পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ-কাণ্ডের সময় আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন দময়ন্তী সেন। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তিনি 'ধর্ষণ-কাণ্ড' বলেই রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনাটিকে 'সাজানো ঘটনা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সেই দময়ন্তী সেনকেই ধর্ষণ-কাণ্ড মামলার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়ার নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হল, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।