মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিশ্রুতি রাখলেন, বিধানসভা ভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় ফেরার পর আবারও চালু হতে চলেছে বিধান পরিষদ। অনেকে তৃণমূলের তরফে টিকিট পায়নি এই বিধানসভা নির্বাচনে, তাদেরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছেন। অন্যদিকে বলে রাখা ভালো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কিন্তু তার নির্বাচন কেন্দ্রে জিততে পারেননি, তাই যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধান পরিষদের সদস্য হয়ে যান, তাহলে কিন্তু নিশ্চিন্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যেতে পারবেন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠন হওয়ার প্রস্তাব স্বীকৃত হলো।
আগামী ২৪ মেয়ে এই মর্মে আরো একবার বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকে নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরের পরে বিধান পরিষদ গঠনের সমস্ত কাজকর্ম শুরু করে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, বিধানসভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য বিধান পরিষদে থাকতে চলেছেন। অনেকে রাজ্যসভায় এবং লোকসভার মতই এবারে পশ্চিমবঙ্গের আইনসভার দুটি কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। এরমধ্যে উচ্চকক্ষ হবে বিধান পরিষদ, আর নিম্নকক্ষ হবে বিধানসভা। ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ তুলে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের নীতির বিরোধিতা করে দীর্ঘ ৫০ বছর পর আবারো মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে বাংলায় ফিরতে চলেছে বিধান পরিষদ।