দিনে দুপুরে পরপর দু'টি হামলার ঘটনা ঘটল খাস কলকাতার বেহালা (Behala) চত্বরে। প্রথমটি বেহালার সেনাটি বাজার এলাকায় এবং দ্বিতীয়টি ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) এলাকায়। দু'টি ঘটনায় আততায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ। তবে দু'টি ক্ষেত্রেই আততায়ী মানসিক ভারসাম্যহীন, বলছেন একাংশ। যদিও দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি বেহালার সেনাটি বাজার এলাকার। খবর, গতকাল রেখা হালদার এবং তাঁর মেয়ে লতা হালদার বাড়িতেই ছিলেন। আচমকাই বাপ্পা নিয়োগী নামে এক ব্যক্তি ধারালো ব্লেড ও কাটারি নিয়ে রেখা দেবীর বাড়িতে চড়াও হন। আর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। আর তখনই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। ততক্ষণে বেহালা থানায় খবর পাঠানো হলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে। বর্তমানে তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত বাপ্পা নিয়োগী তাঁদের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই পাড়ায় থাকা দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। যদিও বেহালা থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ঠিক কারণে এমন ঘটনা যা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। পারিবারিক শত্রুতা নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দিনের বেলা বাড়িতে এসে হামলার ঘটনায় আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী।
দ্বিতীয় ঘটনাটি বেহালার ঠাকুরপুকুর এলাকার। এক্ষেত্রে গতকাল রাতে ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অতিত দিন্দা এবং সীমা দিন্দা। এমন সঞ্জু সাহা নামে এক আততায়ী আচমকাই তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। অমিত দিন্দার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসায়। আর তাঁদের চিৎকারে লোক জড়ো হলে অভিযুক্ত চম্পট দেয়। এমনকী যাওয়ার সময় বলে যায় যে আসবে তার উপরেই হামলা করবে। ঘটনার পর অভিযুক্ত নিজের বাড়িতে যায়। পাড়ার লোকজন অভিযুক্তকে ঘরে আটকে রেখে ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বেহালা চত্বরে একই দিনে পরপর এমন ঘটনায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।