মাথায় হেলমেট আর মুখে মাস্ক পরে সারারাত চোর ঘাপটি মেরে বসে ছিল শৌচালয়ে। তারপর সকালে ব্যাংক খুলতে না খুলতেই সোনা নিয়ে চম্পট দিল চোর। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বেকবাগানের একটি বেসরকারি ব্যাংকে। ব্যাঙ্কে কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর পুলিশ জেনেছে, গত ১১ ই জুলাই ব্যাংক বন্ধের কিছুক্ষণ আগে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ব্যাংকে প্রবেশ করেছিলেন ওই চোর। তারপর সোজা চলে গিয়েছিলেন শৌচালয়ে। সেই সময় ওই চোরের মাথায় ছিল হেলমেট এবং মুখে একখানি মাস্ক। ফলে ওই চোরের চেহারা ঠিক করে দেখা যায়নি। তারপর সরাসরি ব্যাংকের শৌচালয়তে ঢুকে গিয়ে একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন ব্যাংক পুরোপুরি খালি হয়ে যাওয়ার।
সময়মতো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় রাত ১১ টার সময় সেখান থেকে বার হন ওই চোর। যে ঘরে সোনা রাখা ছিল সেখানে গিয়ে একের পর এক সোনার গয়না চুরি করেন তিনি। গ্রাহকদের ঋণ দেবার বিনিময়ে বন্ধক হিসেবে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা জমা রাখা হয়েছিল ব্যাংকের ওই জায়গায়। সোনা রাখার তাকের উপরে ছিল একটি সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন অভিযুক্ত।
তারপর সেখান থেকে সমস্ত সোনা চুরি করে বারই জুলাই সকাল আটটা ৫০ মিনিট নাগাদ যখন ব্যাংক খোলে, মোটামুটি ন'টা নাগাদ ব্যাগ হাতে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান ওই অভিযুক্ত। প্রায় একদিন বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে চাপা ছিল। ১৩ই জুলাই বিষয়টি নজরে আসার পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিভাবে অভিযুক্ত সোনা রাখার ঘরের তারা ভেঙে দিলেন, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই মামলার তদন্ত করার জন্য ফরেনসিকের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।