পরপর দু'দিনে এই নিয়ে ৩৭ জন বাংলাদেশীদের গ্রেফতার করা হল। চোরাপথে কলকাতায় (Kolkata) অনুপ্রবেশ করেছে তারা। প্রথম দফায় ২০ জনকে গ্রেফতার করার পর তাদের জেরা করে আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। আর দ্বিতীয় দফায় ফের কলকাতার আনন্দপুর (Anandapur) এলাকায় স্পেশাল অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে মানব পাচারের সংযোগ রয়েছে। কলকাতাকে কেন্দ্র করে একটি বড় মানব পাচারের চক্র চলছে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চোরাপথে প্রথমে কলকাতায় আনা হত সেই ব্যক্তিদের। তারপর এখানে ভুয়ো নথি তৈরি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে দেওয়া হত। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে এতদিন ধরে এই চক্র চলছিল, তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। নেপাল, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশে পাচারের আগে তাদের কলকাতার এই আনন্দপুর এলাকায় লুকিয়ে রাখা হত। এখানে বিভিন্ন এজেন্টরা ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্রয়োজনীয় নথিপত্র, জাল পাসপোর্ট তৈরি করে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় এই নিয়ে মোট ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মফিজুর রহমান এখন পুলিশের জালে। এই মফিজুর রহমান দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করত বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই মানব পাচারের চক্র কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের খোঁজ চলছে পুলিশের তরফে। এদিকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, লখনউ এটিএসের সহায়তায় শনিবার প্রথমে ২০ জন ধরা পড়ে। ফের রবিবার আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০, ৪১৯, ৪২০ ধারা-সহ আরও সাতটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুরভোটের প্রাক্কালে এমন ঘটনায় তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।