বর্তমান সমাজের অধিকাংশের ওপরেই দখল নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। মন ভালো হোক কিংবা খারাপ, সব মুডেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছে ইউটিউব শর্টস কিংবা ইনস্টাগ্রাম রিলস। এছাড়াও ব্লগ আর ভ্লগিং-এর দুনিয়ায় সবই যেন হাতের মুঠোয়। "ভালোবাসার মরশুম" হোক কিংবা "ডুবে ডুবে ভালোবাসি"- সকলের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা কিংবা স্টোরি জুড়ে আনাগোনা করছে তরুণ প্রজন্মের 'ক্রাশ' তথা তারকা মুকুল কুমার জানা।
তাই পরিদর্শকের সাক্ষাৎকারের পাতায় আজ নাম জুড়ে গেল মুকুলের।
বাঁকুড়াতে মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা, এরপর সোজা অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উচ্চমাধ্যমিক। ফের ফিরে আসা নিজের শহরে। কলকাতার খ্যাত এক বেসরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন মুকুল। ছেলেবেলা থেকে পড়াশোনায় প্রথম তিনে মুকুলের নাম এলেও, চিত্র বদলায় পঞ্চম শ্রেণিতে। কমতে থাকে পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক। তবে তা বলে যে পড়াশোনার প্রতি এসেছিল অনীহা, এমনটাও নয়। পরিদর্শককে মুকুল জানান, পদার্থবিদ্যার ওপর তার বরাবরই ভালোবাসা ছিল।
ক্যামেরার পিছনের কাজ থেকে আচমকাই হিরো, ২০২০-তে মিনি সিরিজের হাত ধরে জীবন বদলায় মুকুলের। সফলতা পায় 'বাদল দাস', ভাইরাল হয় মুকুলের অভিনয়। এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা, হোয়াটসঅ্যাপ জুড়ে স্রেফ মুকুলের আনাগোনা।
এত পরিচিতির মাঝে, বাড়িতে কতখানি সাপোর্ট করেছে মুকুলের কাজ? 'আমার মা প্রথম থেকেই খুব সার্পোটিভ। কিন্তু আমার বাবা আজও মায়ের মতো ততখানি সাপোর্ট করতে পারেনি। আজও বাবা চায়,আমি চাকরি করি। কিন্তু এখানেই একটা সমস্যা। আমার ইচ্ছেটা চাকরি নয়। বরং অভিনয়ের দিকেই।'
তবে আরও ছড়িয়ে পড়ুক মুকুলের অভিনয়। আসছে বছরে দর্শকদের থেকে আরও ভালোবাসা পাক মুকুল। আরও নতুন কাজ উপহার দিক অভিনেতা এবং তার গোটা টিম। রইল নতুন বছরের শুভেচ্ছা।