পরিশ্রম তার নিত্য সঙ্গী, জীবনে এসেছে বহু ঝড়। তবে বিদ্যুতের চমকে আঁচ আসেনি তার স্বপ্নে। বরং ইচ্ছে ও বিশ্বাসের অদম্য শক্তি আজ রূপ দিয়েছে তার স্বপ্নকে। যে ছেলেটি সকাল হলে ট্রেনে শসা কিংবা পেপসি বিক্রি এবং রাতে ক্যাটারিংয়ের কাজ করে দিন কাটিয়েছে, সেই ছেলেটির সঙ্গেই আজ সেলফি তোলার স্বাদ নিতে মশগুল বহু বাঙালি। নাম তাঁর নিহার বাগচী। এই নামের সঙ্গে আপনি ঠিক পরিচিত না হলেও "মাঞ্চু দাদা"কে তো চিনবেনই। আজ আমরা কথা বলব তাঁকে নিয়েই।

বর্তমানে নিহারের পেজের ফলোয়ার্স সংখ্যা সাত লক্ষ্য পেরিয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাও।

বিনোদনমূলক পেজগুলির মধ্যে আজ অন্যতম একজন নিহার। তবে তার চলার পথ এতটাও সহজ ছিল না। তার প্রথম পেজ এক লক্ষ ফলোয়ার্স পেরোতেই হ্যাক হয়ে যায়। তবে শত ঝড় এলেও হার মানেনি সে। 'সবার মধ্যেই একটা ট্যালেন্ট আছে' এই কথা বলেই নিহার থেকে আজ মাঞ্চু হয়ে উঠেছে সে।


নিহারের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া জেলায়। মা, বাবা ও ভাইকে নিয়েই নিহারের পরিবার ছিল। ছোটো থেকেই পরিশ্রম ও বাস্তবতার সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্ক তাঁর। তবে হার মানেনি সে। নিজের এলাকা থেকেই স্কুল জীবন শেষ করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি কলেজে শুরু হয় নিহারের কলেজজীবন। বর্তমানে মধ্যমগ্রাম এপিসি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সে। তবে এসবের মাঝেও নিহার ছোট্ট ভালোলাগার জায়গা 'নাচ'।

ছোটো থেকেই নাচের প্রতি রয়েছে তার অগাধ ভালোবাসা। তাই নাচ নিয়ে অবহেলা কিংবা হেয়ালি বা ব্যর্থতা একেবারেই পছন্দ নয় তার। তবে আজ নিহারের জীবনে সাফল্য এলেও, সে সময় পাশে থাকেনি বহু মানুষ।
আজ যে ছেলেটির নাচের ভিডিওতে হুহু করে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের বন্য বইছে। একসময় নিজের নাচকে সকলের সামনে তুলে ধরতে দিতে হয়েছে বহু পরীক্ষা।

পাড়ার স্টেজ হোক কিংবা রিয়েলিটি শো'র মঞ্চ, ব্যর্থতা এসেছে বহুবার। তবে সেই ব্যর্থতাকেই কাজে লাগিয়ে, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই আজ নিহার বাগচী আপনাদের সকলের প্রিয় 'মাঞ্চু দাদা'। আর তাই মা-বাবা এবং ভাইয়ের সঙ্গেও নিহারের পরিবারের তালিকাতে রয়েছেন আপনারাও।