ফেসবুক (Facebook), ইউটিউবের (YouTube) মতোই বহুল জনপ্রিয় প্লাটফর্ম 'ইনস্টাগ্রাম' (Instagram)। এই 'গ্রাম'-এ এখনও ঘুরতে যায়নি, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম। একদিকে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে যেমন নিজেদের পছন্দের বিষয়ের ওপর কেন্দ্র করে ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছেন একের পর এক ক্রিয়েটর (Creator)। তেমনই ইনস্টাগ্রাম থেকে সফলতার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছেন একের পর এক ইনফ্লুয়েন্সর।
পরিদর্শক আজ বলবে অন্যরকম এক ইনস্টাগ্রামারের গল্প। নাম, বিবেক রঞ্জন সরকার। বাড়ি খড়গপুর। মা-বাবা ছাড়াও যৌথ পরিবারের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠে বিবেক। পড়াশোনার মধ্যেই বিবেক পায় চাকরি। আজ বিবেক চাকরি করলেও, পড়াশোনা থামাননি তিনি।
বলাবাহুল্য, 'প্রফেসন'-এর পিছনে দৌড়ে 'প্যাশন'কে ভোলেননি বিবেক। ২০২০ সালে ফটোগ্রাফিতে ইচ্ছে প্রকাশ করে, নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নানান ছবি আপলোড করেছেন বিবেক।
মেলে মানুষের ভালোবাসা। এরপর ফটোগ্রাফির পাশেই লাইফস্টাইল ব্লগিংয়ে ইচ্ছে আসে বিবেকের। নানান রকম প্রোডাক্ট ছাড়াও বহু রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারেন তিনি। মানুষ কেন তাঁর বলা প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন কিংবা তাঁর দেখানো রেস্টুরেন্টে যাবেন? এই নিয়েই মূলত কাজ বিবেকের।
২০২১ সালের নভেম্বরে বিবেক নিয়োজিত হন সক্রিয় ব্লগিংয়ে। ২০২২-এ কলকাতার খ্যাত AB's (Absolute Barbecues) এর সঙ্গে কাজ করেন বিবেক। এছাড়াও স্টার বেলি, চেরি ক্যাফে, ফাইন লাইন বারবিকিউ সহ নিজের জেলার অন্যান্য বহু রেস্তোরাঁ নিয়ে কাজ করেছেন বিবেক।
ইনস্টাগ্রামে এসে নেটিজেনদের ভালোবাসার সঙ্গেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার অনির্বাণ দাসের সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণাও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বিবেকের এই অ্যাকাউন্ট। সকলের ভালোবাসায় ছাব্বিশ হাজার ছুঁইছুঁই ফলোওয়ার্স নিয়ে সগৌরবে চলছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল।
পরবর্তীতে বিবেকের ইচ্ছে বড়ো ইনফ্লুয়েন্সর হওয়ার, নিজের প্যাশনকেই প্রফেশনে রূপান্তরিত করে উচ্চতার শিখরে পৌঁছনোর। পরিদর্শকের তরফে বিবেকের জন্য রইল শুভেচ্ছা।