অতিমারি করোনার রেশ কেটেছে বেশিদিন হয়নি। এর মধ্যেই উপস্থিত আরও এক নতুন আতঙ্ক। কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)! যার থাবায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। আক্রান্তের দিক দিয়ে রেকর্ড ভেঙেছে মুম্বই। জুলাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয়শোর কাছাকাছি। অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই কনজাংটিভাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় বেড়েছে এর দ্বিগুণ।
মুম্বইয়ের ফর্টিস হাসপাতালের সিনিয়র চক্ষু বিশারদ, ডাক্তার গিরিজা সুরেশ (Dr. Girija Suresh) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় আট থেকে দশ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁদের শরণাপন্ন হচ্ছেন।
মূলত স্কুল পড়ুয়ারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। এছাড়াও মধ্যবয়সী মানুষজনও তাঁদের কর্ম ক্ষেত্রে এই রোগের ধারক হচ্ছেন। এলার্জি বা ভাইরাস এবং সংক্রমণের কারণে চোখের রক্তনালী স্ফীত হয়ে ওঠে। এর ফলেই দেখা যায় চোখের প্রদাহ।
এই রোগের উপসর্গ হিসেবে বেশ কয়েকটি লক্ষণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন চোখ কটকটে লাল হয়ে যাওয়া, অনবরত জল কাটা, চোখ ফুলে ছোট হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা ইত্যাদি।কনজাংটভাইটিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কোনও কারণে আপনি সংক্রমিত হলে যে দিকগুলি মেনে চলা আবশ্যক, সেগুলি হল
• চোখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন হলে, ভালো করে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে তবেই চোখে হাত দেবেন। বারংবার চোখ ঘষবেন না। এর ফলে চোখের জ্বালা আরও বৃদ্ধি পাবে।
• পরিষ্কার জল দিয়ে বেশ কিছু সময় অন্তর চোখ ধুয়ে নিন। জল মৃদু উষ্ণ হলে আক্রান্ত চোখের পক্ষে তা আরামদায়ক। হালকা কাপড়ে ভিজিয়ে, চোখে ভাপ দিন।
• ডাক্তারের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করুন। নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। চোখের মত সংবেদনশীল অঙ্গের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই যথাযথ ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
• চোখে কোনও রকম প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। এবং নিজের ব্যবহৃত সামগ্রীও অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
[বি দ্রঃ - চোখ লাল হলে বা জল কাটলে, দ্বিতীয়বার না ভেবে সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন। এই ব্যাপারে যত শীঘ্র সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসার ক্ষেত্রে, তত কম ভুক্তভোগী হবেন।]