তিনি গান ধরলে মনে হয় জড়ের মধ্যেও প্রাণ সঞ্চার ঘটবে। তাঁর গান শুনলে মনে হয়, অনেকদিনের মন খারাপ দুর হয়ে যায়। কোকিল-কণ্ঠী শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) গান হয়ে উঠেছে এমনই মন খারাপের ওষুধ। চলতি বছর যেমন মন ভালো করা গানে তিনি মাতিয়ে রেখেছেন ভক্তকূলকে, তেমনই নিজে পেয়েছেন পঞ্চমবারের জন্য জাতীয় পুরস্কার।
দু'দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছেন সুর-সম্রাজ্ঞী শ্রেয়া ঘোষাল। বাংলা বা হিন্দি ছাড়াও, অন্যান্য ভাষার গানে মন ভরিয়েছেন মানুষের। কিছু মাস আগে আরবের সঙ্গীত শিল্পী সাদ লামজারেডের (Saad Lamjarred) সঙ্গে গলা মিলিয়ে শ্রেয়া গেয়েছিলেন 'গুলি মাতা' (Guli Mata)। দেশীয় এবং বিদেশের সংমিশ্রণে তৈরি এই গান মন ছুঁয়ে গেছিল সকল শ্রোতার।
একবার বা দুবার নয়, পঞ্চমবারের জন্য আরও একবার তাঁর মুকুটে জুড়ল সাফল্যের পালক। জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই বঙ্গ-তনয়া। পঞ্চমবারের জন্য এমন এক স্বীকৃতি পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন গায়িকা।
নিজের গানেই শুধু যে মানুষের চোখে জল আনেন শ্রেয়া, এমনটা নয়। বরং তাঁর চেয়ে কমবয়সী শিল্পীদের গান শুনেও তাঁর চোখে জল আসে। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে এই বছরের 'ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৪' (Indian Idol 14) এর মঞ্চ। দৃষ্টিশক্তিহীন প্রতিযোগী মেনুকার (Menuka Poudel) গান শুনে শ্রেয়া হয়ে উঠেছিলেন আবেগতাড়িত, যা প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর চোখের ভাষায়।
এই বছরে বিশাল-শেখরের (Vishal -Sheykhar) মত সুরকার সহ, সঞ্জয় লীলা বনশালির (Sanjay Leela Bhansali) গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন শ্রেয়া। দেশ বিদেশ জুড়ে তাঁর লাইভ কনসার্ট 'অল হার্টস ট্যুর'এ (All Hearts Tour) মাতিয়ে রেখেছিলেন প্রতিটি মানুষকে। এই বছরেই দু বছরে পা দিয়েছে শ্রেয়ার ছোট্ট পুত্র দেবয়ান। মায়ের সঙ্গে বেশ অনেকগুলি কনসার্টে তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।