গত পরশু এইমসের তরফ থেকে ডক্টর সুধীর গুপ্তা জানান যে সুশান্ত সিং রাজপুত খুন হননি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এবং সুশান্তের শরীরে মারধোর বা ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। আর ঠিক এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সুধীর গুপ্তের এই রায় মেনে না নিয়ে তিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শ্বেতা জানিয়েছেন, প্রথমে সুধীর গুপ্তা মুম্বাই পুলিশকে সুশান্তের গলায় ফাঁসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এখন তার গলায় বইছে উল্টো সুর।
এর আগে সুধীর গুপ্তার ইন্টারভিউ গুলি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তিনি বারবারই সুর চড়িয়েছেন সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে কুপার হাসপাতাল এবং মুম্বাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আগস্টের একটি ইন্টারভিউতে তিনি জানান যে অপরাধের দৃশ্য অক্ষত নেই। এমনকি একটি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটেও তিনি জানিয়েছিলেন যে, কুপার হাসপাতালে সুশান্তের ময়নাতদন্তের জন্য যে চারজন চিকিৎসকের দল গঠন করা হয়েছিল তার মধ্যে একজন একদম জুনিয়র স্তরের ফরেন্সিক অফিসার বাকি তিনজন সাধারণ মেডিকেল অফিসার। তিনি বলেছিলেন, এই টিম চারজন বিশেষজ্ঞ ফরেন্সিক অফিসারকে নিয়ে গঠিত হওয়া উচিত ছিল। এই প্রমাণ গুলোই ভাবাচ্ছে সকলকে।
সুধীর গুপ্তের প্রথম দিকে মন্তব্য গুলো থেকে স্পটতই বোঝা যাচ্ছিল যে সুশান্তের খুনের সম্ভাবনাই তীব্র। কিন্ত এখন ডাঃ সুধীর গুপ্তের এই রায়ে যারপরনাই অবাক হয়েছেন সুশান্তের পরিবার। সুশান্তের পারিবারিক উকিল বিকাশ সিংহ টুইট করে জানিয়েছেন যে তারা এইমসের এই রিপোর্টে যথেষ্ট বিচলিত। ফরেন্সিক অধিকর্তাকে তারা অনুরোধ করবেন নতুন করে রিপোর্ট খতিয়ে দেখার জন্য।