‘খারাপ সময় বউ পাশে থাকেন, প্রেমিকা নয়’ কিংবা 'বউ উকিল নিয়ে ঘুরছেন, প্রেমিকা ওষুধ নিয়ে, জীবনে আর কি চাই শোভনদা?' সোমবার নারদ কান্ডে শোভনবাবুর গ্রেফতারির পর থেকেই এমনই চর্চা ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাসির খোরাক হয়েছেন বৈশাখী-শোভন-রত্না। তাঁদের জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন খোরাক যে অবাঞ্ছনীয়, তা ঠিকই। তবে নেটাগরিকদের আটকাবে কে?
গত সোমবার নিজাম প্যালেসে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর, বেহালা পূর্বের বর্তমান বিধায়ক ওরফে শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং শোভন পুত্র ঋষি আইনজীবী নিয়ে হাজির নন। ওদিকে শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী জেলের বাইরে কাঁদতে থাকেন, শোভনবাবুর ওষুধ তাঁর কাছে পৌঁছে দেবার জন্য। এমনকি বন্ধু শোভনবাবুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসে বৈশাখীদেবীর। গলায় ফুটে উঠল আর্তি, "ওনার ওষুধটুকু অনন্ত নিয়ে যেতে দিন। কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, ওনার ওষুধ, সবকিছু আমার কাছে। কী করছে ভেতরে কে জানে। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল। উনি হাইলি ডায়বেটিক, ৫০০-র ওপর ইনসুলিন নিতে হয়। এজন্য কিছু খেতে হয়। ওনার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। এক ফোঁটা জল খেতে দেওয়া হয়নি। সিবিআই পশুর মতো ব্যবহার করছে।"
এতেই নেটমাধ্যমে নানা কথা ওঠে। নেটাগরিকের একজন লেখেন, ‘বউ উকিল নিয়ে ঘুরছেন, প্রেমিকা ওষুধ নিয়ে ঘুরছেন জীবনে আর কি চাই শোভনদা?' এমনকি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র সঙ্গে রত্নার তুলনা শুরু হয়। তাঁদের মতে, ধারাবাহিকে যেমন শ্রীময়ী তাঁর স্বামীর বান্ধবী থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রতি কর্তব্য করতে ভোলেন না, তেমনই শোভনের জীবনে বৈশাখীর উপস্থিতি সত্ত্বেও বিপদে স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালেন রত্না।