অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) কথা দিয়েছিলেন, পথকুকুরদের দত্তক নিয়ে তাদের দেখভাল করলে, তাঁর সঙ্গে কফি ডেটে যাবেন অভিনেত্রী। আর সেই মতোন এক নেটিজেন, বলাবাহুল্য রেড ভলান্টিয়ার এবং সর্বোপরি অভিনেত্রীর এক অনুগামী শশাঙ্ক, এক পথকুকুরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপরেই কথা রাখেন অভিনেত্রী। শশাঙ্কের সঙ্গে কফিডেটেও যান তিনি। গত জুলাই মাসেই ছোট সারমেয়টিকে দত্তক নেন আড়িয়াদহের রেড ভলান্টিয়ার শশাঙ্ক ভাবসর।
তবে এর মধ্যেই সব উল্টে গেল। হঠাৎই খবর এল দত্তক নেওয়া সারমেয় মারা গিয়েছে। সোমবার রাতে ফেসবুকে শশাঙ্ক লেখেন, "টুম্পা আর আমাদের মধ্যে নেই।" এরপরেই ফেসবুক লাইভ করে দময়ন্তী সেন খুনের অভিযোগ আনেন শশাঙ্কের বিরুদ্ধে। দময়ন্তীর আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র তারকার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই এই কাজ করেছিলেন শশাঙ্ক।
দময়ন্তীর আরও অভিযোগ, তিনি মাঝে মাঝে টুম্পার (সারমেয়) খোঁজ নিতেন। শশাঙ্ক কোনও আপডেট দিতেন না। সোমবার দুপুরেও শশাঙ্ক দময়ন্তীকে জানিয়েছিলেন, টুম্পা ভালো আছে। পুরনো ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। শশাঙ্ককে নতুন ভিডিও পাঠাতে বলেন দময়ন্তী। টুম্পাকে দেখে আসার কথাও জানিয়েছিলেন। এরপরই হঠাৎ রাতেই শশাঙ্ক জানান, দুর্ঘটনায় টুম্পার মৃত্যু হয়েছে। ছোট্ট একটি সারমেয় ঘরে থাকলে কীভাবে তার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে? প্রশ্ন দময়ন্তীর।
এরপরেই এদিন বিদেশ থেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা। লেখেন, "আমার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে, কেন যে ওই বদমাশটাকে দিলাম। তুমি না রেড ভলান্টিয়ার? আমার থেকে যে কুকুর ছানাকে নিলে তার হদিশ দাও। এত বড় সাহস? রাখতে না পারলে নিয়েছিলে কেন?"
এতসব অভিযোগের পরে অবশ্য ফেসবুকে শশাঙ্ক লেখেন, "আমার ভুল মাথা পেতে মেনে নিলাম।" তবে শশাঙ্ককে ক্ষমা করতে নারাজ শ্রীলেখা। ফেসবুক ভিডিও বার্তা দিতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী।