থিয়েটারে বিজলি আলোর ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ১৮৮২ সালে। কলকাতায় বিজলি বাতির ব্যবহারে জনমানসে তাক লাগান প্রথম শিশির ভাদুড়ি। পাদপ্রদীপ থেকে সেই অন্যতর আলোর সন্ধান শুরু। একে একে বাংলা থিয়েটারে আসে এ.সি, আসে পুশ ব্যাক সিট, আসে রিভলবিং স্টেজ। সেসব ইতিহাস কি মনে পড়ে আজ একাডেমীতে নাট্য দেখতে বসে? পড়ে না। দেহ পট সনে নট সকলই হারায়।
বিপুলা পৃথ্বী তবু কাউকে জাগিয়ে রাখে। যেমন সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জি। বন্ধ হয়ে থাকা খাঁ খাঁ নাট্যগৃহের হাহাকার, ইতিহাসের গুমরে থাকাটা বড় বেদনায় বেজেছে ওঁর বুকে। তিনি তাই এসপিসি ক্রাফ্ট ও ঘোষ কোম্পানির সাহায্যে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে চলেছেন যার নাম "স্পটলাইট"।
এটি বাংলা থিয়েটারের ব্যবসায়িক নাট্য ও নাটমঞ্চের ইতিহাসের এক দাস্তানগোই। বিবিধ শিল্পমাধ্যমে নিজেকে উজাড় করা সুজয়ের এবারের প্রেরণা অভিষেক মজুমদার রচিত উপন্যাস "দ্য ফায়ারবার্ড"। সেই প্রেরণা রূপ পেল পূর্ণাঙ্গ এক তথ্যচিত্রে। সেই চিত্রের গবেষণা ও ভাষ্যনির্মাণ করেছেন "নটধা" নাট্যদলের তরুণ অভিনেতা রুদ্ররূপ মুখোপাধ্যায়। দৃশ্যরচনা করেছেন চলচ্চিত্রের তরুণ শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ওঁরা দুজন সূত্রধারও বটে।সঙ্গে সুজয় একাজে পাশে পেলেন সোহাগ সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রত্না ঘোষাল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দামিনী বসুর মত মানুষদের। এলেন বোম্বে থেকে নীরজ কবি। সবাই মিলে খুঁজলেন আলো। হারিয়ে যাওয়া থিয়েটারের আলো।
সুজয় সেই ঝুমকোফুলের লতাটির মত আপাতত সেই আলোর অনুরাগী। সম্প্রতি প্রকাশ পেল ট্রেলার। "স্পটলাইট" আসতে চলেছে আগামী অগাস্ট মাসে।