বরাবরের মত, তাঁর নামের সঙ্গে অনুষঙ্গ হিসেবে স্থান পেলো সাফল্য। সৌরভ দাসের (Saurav Das) অভিনীত ছবি, 'অল্প হলেও সত্যি' (Olpo Holeo Sotyi) তাঁকে এনে দিলো সেরার শিরোপা। বলা বাহুল্য, এই ছবির জন্য তাঁর মুকুটে একবার নয়, বরং পরপর একাধিকবার সেরার পালক যুক্ত হলো।
অন্যান্য অভিনয়-পিপাসু অভিনেতাদের মত, সৌরভও থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয়ের হাতেখড়ি ঘটান। ছোট পর্দায় তাঁকে প্রথম দেখা যায় জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক, 'বয়েই গেলো' (Boyei Gelo) তে। সেখানে পার্শ্ব চরিত্রেই তিনি তাঁর জাত ছিনিয়ে দেন। সকল 'বয়েই গেলো' প্রেমী মানুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন তাঁর সদা প্রাণবন্ত চরিত্র 'বিরসা'।
এরপর থেকে ক্রমশ সৌরভ সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে শুরু করেন। ধারাবাহিকের সঙ্গে, রুপোলি পর্দার স্পটলাইটও নিজের দিকে তাক করে নেন এই দক্ষ অভিনেতা। অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra) অভিনীত 'আশিকী' (Aashiqui) ছবিতে তাঁর অভিষেক হয়। তারপর একে একে চলচিত্রের সঙ্গে ওয়েব সিরিজেও তিনি তাঁর রাজ্যপাট বিস্তার করেন। হয়ে ওঠেন 'ওয়েব সিরিজ কিং'।
সৌম্যজিত আদকের (Soumojeet Adak) 'অল্প হলেও সত্যি' তে সৌরভ অভিনয় করেন এক নিঃস্ব, জর্জরিত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ভূমিকায়, যিনি আগে পেশায় বাংলা শিক্ষক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নৈকট্যের বীজ রোপণ করে, অমৃতা ওরফে দর্শনা বণিক (Darshana Banik)। সৌরভের ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবোধ, সহায়-সম্বলহীনতা, অমৃতার প্রতি নির্ভরশীলতা, তাঁর জন্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রত্যেকটি চারিত্রিক 'শেড'কে যেন সৌরভ যাপন করেছেন। অন্যান্য চরিত্রের মত এই চরিত্রটিও যেন তাঁর আরেকটি সত্তা। তাই তাঁর মুকুটে এই ছবির জন্য, সাফল্যের নতুন পালক সংযোজন, যথার্থই বিচারযোগ্য হয়েছে।