সম্প্রতি নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফ থেকে ট্রান্সফার করা হল একসাথে ৬টি মামলাকে। আর এই তালিকায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলিউড বাদশা আরিয়ান খানের ড্রাগ মামলা। এতদিন পর্যন্ত মুম্বাই নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল। কিন্তু তারপরে এই ঘটনার মধ্যে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং বিতর্কের মধ্যে পরে যান এনসিবি অফিসার সমির ওয়াংখেড়ে। পরবর্তীতে এই কারণেই মূলত, মুম্বাই সেকশন থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলা সরিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের কাছে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিবি ইন্ডিয়া। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে এই মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্য সঞ্জয় কুমার সিং।
জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বাই এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স টিমের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিবি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর একটি প্রমোদতরী থেকে ড্রাগ সহ ধরা পড়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। এই বিশেষ রেইড চালিয়েছিল মুম্বাই এনসিবি, যার প্রধান ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এবারে সেই মামলার তদন্তের জন্য একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হলো, যার প্রধান হতে চলেছেন সঞ্জয় কুমার সিং, যিনি আদতে একজন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অফিসার।
এনসিবির এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সমীর ওয়াংখেড়ের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, 'আমি কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুম্বাই এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর আছি এবং এই পদ থেকে আমাকে সরানো হয়নি এখনও। কিন্তু আমি নিজেই চাই যাতে, আরিয়ান খানের এই মামলা এবং আমার বিরুদ্ধে আনা নবাব মালিকের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি নিযুক্ত করা হোক। এটা খুবই ভালো হলো যে, এবারে দিল্লির একটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে।আমাকে এই মামলা থেকে অপসারিত করা হয়নি। বরং আমি নিজেই চেয়েছিলাম যেনো দিল্লির কোনো একটি সংস্থা এই মামলার তদন্ত করে। আমার খুব ভালো লাগছে যে আমার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এনসিবি এবং দিল্লি এনসিবির তরফ থেকে এবারে এই মামলার তদন্ত করা হবে। মুম্বাই এনসিবি এবং দিল্লি এনসিবির মধ্যে যে একটা ভালো সম্পর্ক আছে এই মামলা সেটা আবারও প্রমাণ করে দিলো।"