জিয়া খানের মৃত্যুর ৭ বছর পর সাজিদ খানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন প্রয়াত অভিনেত্রীর দিদি। সুযোগ বুঝে সাজিদ খান জিয়া'র যৌন হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন অভিনেত্রীর দিদি। যদিও জিয়া খানের মৃত্যুর পরে, সূরজ পাঞ্চোলি'র উপর তীর উঠেছিল জিয়ার পরিবারের তরফে।
জিয়া খানের দিদির পোস্ট করা ভিডিও সামনে আসতেই, তা ইতিমধ্যে ভাইরাল। হাউসফুলের শ্যুটিং করার সময় জিয়া খানের যৌন হেনস্থা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক সাজিদ খান। যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
জিয়া খানের দিদি বলেন, ২০১৩ সালে হাউসফুল সিনেমার একটি দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় অন্তর্বাস খুলে জিয়াকে রিহার্সাল করতে বলেন সাজিদ। এরপরেই, জিয়া'র দিদির কথায় সহমত পোষন করে সরব হন শের্লিন চোপড়া। তিনি বলেন, ২০১১ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর সাজিদ খানের কাছে যান তিনি। ওই সময় সাজিদ তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেন। সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি নিজে ট্যুইট করেও প্রকাশ করেন শার্লিন চোপড়া।
এখানেই শেষ নয়, সাজিদ খানের বিরুদ্ধে মি টু-এর অভিযোগ নিয়ে সরব হন আরও সাত মহিলা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন- সালোনি চোপড়া, রাচেল হোয়াইট, করিশ্মা উপাধ্যায়, আহানা কুমরা, সিমরন সুরি, মন্দানা করিমি এবং ডিম্পল পাল।
প্রত্যেককেই সাজিদ খান যৌন হেনস্থা সহ নানান কুমন্তব্য করেন। অভিনেত্রী রাচেল হোয়াইট অভিযোগ করেন, "সাজিদের কাছে অডিশন দিতে গেলে, পরিচালক তাঁকে সরাসরি বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং নগ্ন হওয়ার কথা বলেন।"
এরকমই নানান হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে জিয়া খানের দিদি সহ সরব হয়েছেন আরও সাত জন মহিলা।