ফের ট্যুইটারে সরব কঙ্গনা রানাউত। বলিউড মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এবার সাজিদ খানের বিরুদ্ধেও সরব হলেন কঙ্গনা রানাউত।
এদিন ট্যুইট করে তিনি বলেন, "আমাদের দেশের সত্যিকারের সংখ্যালঘু পার্সিরা। তাঁরা এই দেশ আক্রমণ করার জন্য আসেননি। এই দেশের সঙ্গে তাঁরা একাত্ম হয়ে গিয়েছেন। এ দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে, অর্থনীতির উন্নয়নে তাঁদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমার বন্ধুর পার্সি স্ত্রী কমলরুখকে যেন হেনস্থার মুখে আর না পড়তে হয়, সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে প্রশ্ন করতে চাই, যে সংখ্যালঘুরা সহানুভূতি কুড়োনোর নাটক, মুণ্ডচ্ছেদ, দাঙ্গা, ধর্মবদল করায় না,তাদের সুরক্ষায় কী করা হচ্ছে? পার্সিদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কমছে।"
এর সাথেই এদিন তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি স্টেটাস শেয়ার করেন, যেখানে তিনি বলেন, "ওরা জিয়া খানকে খুন করল। সুশান্ত সিং রাজপুতকেও সেই একইভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এতকিছু করেও এই সব মাফিয়ারা ঘুরে বেড়াচ্ছে সব সময়।"
প্রসঙ্গত, মে মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওয়াজিদ খানের। প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালকের স্ত্রী কমলরুখ খান পেশায় একজন হিপনোথেরাপিস্ট।
তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময় থেকেই ওয়াজিদ খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। বছর দশেক আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এ তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরও তাঁরা নিজ নিজ ধর্মাচার পালন করবেন, এই বোঝাপড়াতেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। তিনি ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণ করতে না চাওয়ায় তাঁর ও ওয়াজিদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে।
অন্যদিকে, জিয়া খানের মৃত্যুর পর প্রায় ৭ বছর পর কেটে গেলেও মেলেনি মৃত্যুর কারণ। আর এবার অভিনেত্রীর সঙ্গে সাজিদ খানের ব্যবহার নিয়ে সরব হন অভিনেত্রীর দিদি। এমনকী, সুযোগ বুঝে সাজিদ খান জিয়া'র যৌন হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন অভিনেত্রীর দিদি। যদিও জিয়া খানের মৃত্যুর পরে, সূরজ পাঞ্চোলি'র উপর তীর উঠেছিল জিয়ার পরিবারের তরফে।