হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি ঠাকুর দেবতা থাকলেও, বাঙালির কিন্তু যেকোনও ক্ষতের নিরাময়ক কিংবা যেকোনও অনুভূতির নিয়ন্ত্রক এক ও অদ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলীর (Kaushik Ganguly) আসন্ন ছবি, 'কাবেরী অন্তর্ধান' (Kaberi Antardhan) এর প্রেক্ষাপটের আদ্যপ্রান্ত রহস্য নির্ভর। উত্তরবঙ্গের এক আলো আঁধারি বন্য পরিবেশে, সেই রহস্যের বুননকে আরও প্রকট করে তুলতে পরিচালক ব্যবহার করেছেন একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত। প্রকৃতি পর্যায়ের গান 'ছায়া ঘনাইছে বনে বনে' (Chhaya Ghonaichhe Bone Bone) ব্যবহৃত হয়েছে এই ছবিটিতে। সঙ্গীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তীর (Jayati Chakraborty) কণ্ঠে প্রকাশিত এই গান ইতিমধ্যে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
প্রথম থেকেই বেশ হেঁয়ালির পথ অবলম্বন করে ছবির নির্মাতারা এই ছবির প্রচার করেছিলেন। তখন থেকেই দর্শকের মনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছিল। যেমনটা রয়েছে ছবির প্রতি অংশে। রহস্য দিয়ে আবর্তিত হয়েছে এই ছবি। দৃশ্যগুলি বেশিরভাগ নির্মাণ করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের এক পাহাড়ি, গা ছমছমে পরিবেশে। এমন আলো আঁধারি, বিষন্ন এক চিত্রকল্প যেন কাবেরী নামের জনৈক মহিলার, অন্তর্ধান হয়ে যাওয়ার রহস্যকে আরও ঘনীভূত করে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গান 'ছায়া ঘনাইছে বনে বনে' কোনও একটি দৃশ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেনি। অনেকগুলি অসংলগ্ন এবং অসম্পূর্ণ দৃশ্যের সমন্বয়ে এই গানটি আবর্তিত হয়ে উঠেছে। বলা বাহুল্য, দৃশ্যগুলির একে অপরের সঙ্গে আপাত দৃষ্টিতে যোগাযোগ নেই মনে হলেও, গানটির আমেজ যেন টুকরো টুকরো মূহুর্তগুলি নিয়ে একটি সম্পূর্ন রহস্যের ভাবনা সৃষ্টি করেছে দর্শকের মনে।
১৯৭৫ সালের উত্তাল বাংলা এই গল্পের 'প্রটাগনিস্ট'। চারিদিকের ভাংচুর পারিপার্শ্বিকতায় কিভাবে প্রেমগুলি তাদের অস্তিত্বের সংগ্রাম চালিয়ে যেত, সেই নিয়েই রুপোলি পর্দায় ছবি এঁকেছেন কৌশিক গাঙ্গুলী। অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prosenjit Chatterjee), শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী (Srabanti Chatterjee), চূর্ণী গাঙ্গুলী (Churni Ganguly), কৌশিক সেনের (Kaushik Sen) মত তাবড় তাবড় শিল্পীরা। উল্লেখ্য, মানুষ ছাড়াও রয়েছে আরও একটি প্রাণীর অস্তিত্ব, যাঁর উপস্থিতি দর্শককে রোমাঞ্চিত করে তুলবে। আগামী ২০ জানুয়ারি হবে রহস্য সমাধান, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে 'কাবেরী অন্তর্ধান'।