শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj) এবং কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick) এর একরত্তি কন্যা কৃষভিকে দেখতে তাদের বাসভবনে এলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। অভিনেত্রী একা নন, এসেছিলেন তাঁর ছেলেও। সেই নিয়েই আপ্লুত হয়ে সামাজিক মাধ্যমে এবার কলম ধরলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ।
শ্রীময়ীর কলমে, "ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি, শুধু লেখার জন্য লিখিনি। মন থেকে যা উপলব্ধি করেছি সেটাই ব্যক্ত করেছি, কারণ আমরা তো এখন মানুষের ভালো জিনিস, মানুষের ভালোগুন , মানুষের ভালো কাজ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গেছি, কীভাবে লোকের খুঁত বের করা যায়, ছোট করা যায় কীভাবে লোকের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করা যায়, এটাই আমাদের বেশি লক্ষ্য, অথচ সবাই সেটা করে না। যাদের কোন কাজ নেই তারাই এটা করেন।"
এরপরেই অভিনেত্রীর মন্তব্য, "প্রসঙ্গে আসি ঋতু দি, ঋতুদির সাথে আমি একজন নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে, দিদির মত করে যতই আড্ডা মারি, আড্ডা যেন কম পড়ছে, তার শিক্ষা, তার সহবত, তার জীবনদর্শন, তার অভিজ্ঞতাকে আমি কুর্নিশ জানাই, কাল যখন ঋতুদি এল আমাদের বাড়িতে, আমি খুব খুব খুব আনন্দিত হয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কাছে আরও বেশি উপরি পাওনা হলো ঋতুদির ছেলে, কারণ আমিতো এই জেনারেশনের, আর ঋতুদির ছেলে আমার ভাতৃসম, আমি ওকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম যে ছেলেটির বড় হওয়া, পড়াশোনা, সংস্কৃতি সবটাই বিদেশ থেকে, এখন এসেছে মায়ের কাছে দেশে, তুমি চাও বা না চাও, তুমি অস্বীকার করতে পারবেনা যে সে একজন অভিনেত্রীর সন্তান।"

শ্রীময়ীর আরও সংযোগ, "শুধুমাত্র একজন সেলিব্রিটির সন্তান সে নয়, একজন সুপারস্টার ব্লকবাস্টার। যার ঝুলিতে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড আছে, এরকম একজন অভিনেত্রীর সন্তান,এখানে তার ব্যবহার,তার কথাবার্তা, তার সেন্স অফ হিউমর। এছাড়াও ও খুব ভালো লেখে। সর্বোপরি মা ও ছেলের সাথে কি মিষ্টি সম্পর্ক হতে পারে, সেটা নিজের চোখে না দেখলে আমরা বিশ্বাসই করতাম না, এই জন্যই কথায় আছে গাছ যদি ভাল হয় ফল ভাল হতে বাধ্য। সেটাই প্রমাণ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং তার সন্তান। আমরা যতই বড় বড় কথা বলি, কিন্তু শিক্ষা,পড়াশোনা ম্যাটার করে ভালো মানসিকতার মানুষ তৈরি হতে। শুধু আমি নই আমার মা, বাবা তারা তো কখনো ভাবেওনি যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে এত কাছ থেকে দেখবেন এবং দেখার পর তাদের যা উপলব্ধি হল তারাও এখনো আপ্লুত, আড্ডাটা কালকে রাত তিনটেই শেষ হয়ে গেছে, এখনো শুধুই তাদেরকে নিয়ে গল্প হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে আমার ছোট্ট কৃষভি ঋতুদির কোলে উঠে, তার জীবনের এই ছবিটা স্মৃতি হয়ে থাকবে, ও যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে, ছবিটা দেখে খুব আনন্দ পাবে। আমি চাই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মত অভিনেত্রী আরো অনেক অনেক অনেক সিনেমা আমাদেরকে উপহার দিক, জানিনা অনেকে জানেন কিনা ঋতুদি অসাধারণ লেখেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আদর্শ আমার জীবনে একজন নারী, একজন স্ত্রী, একজন মেয়ে, একজন মা, একজন সুপারস্টার একজন সামাজিক কর্মী, একজন লেখিকা, একজন প্রযোজক হিসেবে। তোমায় খুব ভালোবাসি ঋতুদি।"