গুঞ্জন তো চলবেই, তবে গুজব রটলে আপনারাও বিচার না করে তা শুনবেন কেন? যা রটে তাই কি আসলেও ঘটে? সর্বদা নয়। পেজ-থ্রি'র পাতা ওল্টালেই নানান গন্ধ উড়ে আসে। আদৌ তা কতখানি ঠিক, কোনটা যুক্তিপূর্ণ তা বিচার না করেই শেয়ারের বন্যা বয়ে চলে। অধিকাংশ নেটিজেনদের স্বভাবও আছে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার। আর ট্রোলিংয়ের গল্প? অভিনেত্রীদের কমেন্ট বক্সে উঁকি দিলেই দেখা মিলবে তার। বলাবাহুল্য, ট্রোলিং যেন এখন এক ট্রেন্ড। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যা খুব সহজেই ঘটানো সম্ভব।
তবে ট্রোলারদের আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও, গুজব রটাতে তো দোষ নেই! আবার তা যদি নয় কোনো চর্চিত অভিনেত্রীকে নিয়ে। ক্ষতি কী তবে? তাই বর্তমানে যশ-নুসরতের সম্পর্ককে কিছুটা পাশে সরিয়ে এবার নেটিজেনদের নয়া দিগন্ত "ঋতাভরীর বিয়ে"। এ যেন এক নতুন গল্পের শুরু।
ইতিমধ্যেই লাইম লাইটে এই বিষয়টি। সপ্তাহের শুরুতেই টলিপাড়ায় কান পাতলে নাকি শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী বিয়ে করতে চলেছেন। সব প্রস্তুতিও নাকি নেওয়া হয়ে গেছে। পাত্র-পাত্রীর তরফে শুধু নয়, দুই পরিবারের মধ্যেও নাকি পাকা কথা শেষ। বহু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন আরও দাবি করছে, চলতি বছরের শেষেই নাকি বাগদান পর্ব শেষ করে ফেলবেন ঋতাভরী। পরের বছর বিয়ে। তারা আরও জানিয়েছে, পাত্র টলিপাড়ার কেউ নন। বরং পাত্র পেশায় ডাক্তার। তিনিও একজন সমাজসেবক। আর সেই সূত্রেই নাকি ঋতাভরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব, আর সেখান থেকেই প্রেম!
তবে বিশ্বাস করুন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এবং সর্বদা নিজের অনুগামীদের পজিটিভ বার্তা দেওয়া ঋতাভরী, যদি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে অবশ্যই জীবনের এই বিশেষ মুহুর্ত আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন সানন্দে। এই মুহুর্তে এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র বাক্য ব্যয় করতে রাজি নন ঋতাভরী। এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন, তিনি বিয়ে করছেন না এই মুহূর্তেই।
তাই না হয়, অপেক্ষা করুন। কথা বলার অধিকার সকলের আছে। তবে তা যেন অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো বেফাঁস মন্তব্য না হয়। কাজেই, অযথা কারোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করবেন না।