দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মালবাজারের মালনদীতে আচমকা হড়পা বান আসায় জলের স্রোতে ভেসে যান অনেকেই। মৃত্যু হয়েছে মোট আট জনের। শুক্রবারই জলপাইগুড়িতে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা থাকলেও, এই ঘটনার জেরে কার্নিভালে অংশ নিতে চায়নি একাধিক পুজো কমিটি। বাতিল হয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জলপাইগুড়ির লেখক-নাট্যকর্মীদের অধিকাংশই জানিয়ে দেন, এখন কার্নিভাল করা ঠিক হবে না। বাতিল হয় জলপাইগুড়ির কার্নিভাল। বরং মোমবাতি মিছিলে নেমেছেন এলাকাবাসীরা।
গতকাল কলকাতার রেড রোডে কার্নিভালের শুরুর আগে, কবীর সুমন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করে লিখেছিলেন, কার্নিভাল বন্ধ রাখার কথা। তা হয়নি। বরং সাড়ম্বরে পালন হয়েছে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। রেড রোডে অতিথি-সাধারন মানুষের পাশাপাশি ছিল তারকাদের ঢল। উপস্থিত ছিলেন সুপরিচিত অনেক তারকারা। এত পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলেও, দক্ষিণপাড়া পুজো কমিটির হয়ে ঋতাভরী এবং স্বস্তিকাকে কার্নিভালে দেখা যেতেই শুরু কটাক্ষের ভিড়।
বরাবরই স্বস্তিকা এবং ঋতাভরী যে অন্যদের তুলনায় ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার মানুষ এবং যুক্তি মেনে কাজ করায় বিশ্বাসী, তাই জানতেন আমজনতা। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের না হয়ে, বরাবরই ঠিককে ঠিক এবং ভুলকে ভুল বলে এসেছেন দু'জনেই। রাজ্যে এত দুর্নীতি, চাকরিপ্রার্থীরা কাঁদছেন, এবছর এত বিষাদের মাঝেও কেন দু'জনে এলেন কার্নিভালে? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন সায়ন ব্যানার্জী।
কটাক্ষ করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। অন্য এক নেটিজেনের টাইমলাইন থেকে স্বস্তিকার ছবি শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। কমেন্টেও দেগেছেন তোপ।
বলাবাহুল্য, দক্ষিণপাড়ায় পুজোর মুখ এবার ঋতাভরী চক্রবর্তী। আগেই অভিনেত্রী একথা শেয়ার করেছিলেন। কাজেই পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে অভিনেত্রী চুক্তিবদ্ধ থাকবেন তা স্বাভাবিক।তবে রেড রোড থেকে ঢিঁল ছোড়া দূরত্বে চাকরিপ্রার্থীদের হাহাকার, এও কী চোখ এড়িয়ে গেল অভিনেত্রীর? নাকি রাজনীতি কিংবা রাজ্যের বাকি কিছু নিয়ে না ভেবে, স্রেফ নিজের ক্লাবকে তুলে ধরতে চলে গেলেন কার্নিভালে?
অবশ্যই এটি ঋতাভরীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সমাজসচেতন, যুক্তিবাদী সর্বোপরি নিজের কর্মদক্ষতায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর থেকে হয়তো অন্যকিছু কাম্য করেছিলেন নেটপাড়া।