প্রজাতন্ত্র দিবসে যে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল হবে, তার খবর মিলেছিল আগেই। মূলত, একারণেই প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডের অনুমতি দিয়ে রুট নির্ধারণ করে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সে সব মানলেন না, কার্যত গোটা দিল্লি অবরুদ্ধ হয়ে গেল। চলে স্লোগান, আন্দোলনকারী কৃষকেরা পৌঁছে যান লালকেল্লায়।
ইতিমধ্যেই, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানান বির্তকিত মন্তব্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ আন্দোলনের পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে। এই আন্দোলনে মন্তব্য করতে বাদ যায়নি টলিপাড়া।
অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ” সাধারণতন্ত্র দিবসের এই দৃশ্য আমার মন ভেঙে দিয়েছে! যাঁরা সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন সেই কৃষক ভাই ও বোনেদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার! আজ সারা বিশ্বের নজরে আমরা, এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, বিক্ষোভরত কৃষকদের এই উগ্রপন্থাকে সমর্থন করেন না অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকে শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। রুদ্রনীলের বিশ্বাস, খুব শিগগিরিই কেন্দ্রীয় সরকার এই সমস্যার সমাধান করবে। তিনি মনে করেন, যে মানুষরা এই আন্দোলনকে এতদিন সমর্থন জানাচ্ছিলেন, তাঁরা এই উগ্রতায় কষ্ট পেয়েছেন, দুঃখ পেয়েছেন। কোথাও না কোথাও আন্দোলনের সম্মান এতে নষ্ট হল।
এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) লেখেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, প্রতিরোধ, গণপিটুনির সংস্কৃতি, ধর্ষণের সংস্কৃতি এবং মেনে নেওয়া সমস্ত কিছু আমার মাথার ভিতরে যেন আছড়ে পড়েছে। তবুও সাধারণতন্ত্র। আর কবে আমরা জেগে উঠব?”
তবে ইতিমধ্যেই, এক আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুর খবর ভেসে আসতেই প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের পিসিসি সভাপতি শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নির্দেশে দিল্লী পুলিশ আমাদের কৃষকদের উপর নির্মমভাবে হামলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কলকাতা জেলা কংগ্রেস কমিটি দ্বারা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, এক ঘণ্টার নোটিশের মধ্যেই এই আন্দোলন শুরু করা হয়েছিল।