টলিউডের প্রথম সারির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। শুধু অভিনেত্রী বললেও ভুল, সাংসদ হিসেবেও মিমি যথেষ্ট জনপ্রিয়। জলপাইগুড়িতে জন্ম মিমির। তবে তাঁর শৈশব কেটেছে অরুনাচল-প্রদেশের তিরাপ জেলার দেওমালি শহরে। যদিও পরবর্তীতে ফের জলপাইগুড়ির পৈত্রিক বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এবং সেখানেই একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার ২০০৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজিতে স্নাতক হন তিনি।
বয়স ৩৩ পার, বর্তমানে একাধিক ফ্যানপেজ এবং প্রচুর জনপ্রিয়তার সঙ্গে মিলিয়ন মিলিয়ন 'ফলোয়ার্স'-এর ভালোবাসা নিয়ে মিমির জীবন। শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নন। সাংসদ হিসেবেও মিমির অনুগামী সংখ্যা কম নয় বটে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে যাদবপুর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেও যান তিনি। কাজেই বর্তমানে তিনি যাদবপুর লোকসভা আসনের এমপি।
সব কাজ সামলেও সোশ্যালে ব্যাপক সক্রিয় মিমি চক্রবর্তী। বড়দিনের আমেজ নেটপাড়ায়। এর মধ্যেই লাল পরী হয়ে সোশ্যালে ধরা দিলেন অভিনেত্রী।
অভিনয় করার আগে 'ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া'তে একজন মডেল হিসেবে দেখা গিয়েছিল। এরপর 'চ্যাম্পিয়ন' ছবিতে গৌণ ভূমিকায় অভিনয় করেন মিমি। পরে ঋতুপর্ণ ঘোষের 'গানের ওপারে' ধারাবাহিকে এক্কেবারে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। 'পুপে' চরিত্রে অভিনয়ের পরে আর তাঁকে পিছনে ফিরে যেতে হয়নি। পরে ৭ই ডিসেম্বর, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'বাপি বাড়ি যা' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু। এরপর 'বোঝেনা সে বোঝেনা', 'প্রলয়', 'গল্প হলেও সত্যি', 'বাঙালী বাবু ইংলিশ মেম' এবং 'শুধু তোমারই জন্য', 'এসওএস কলকাতা', 'গ্যাংস্টার', 'টোটাল দাদাগিরি' সহ আরও একাধিক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি।