পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। এই অভিযোগে এবারে কলকাতা পুলিশের কাছে দায়ের হলো তার বিরুদ্ধে একটি মামলা। বিজেপিকে সমর্থন জানাতে গিয়ে বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভেদ তৈরীর চেষ্টা করছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। তাই এবারে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন হাইকোর্টের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। অভিযোগ করলেন পর্দার 'জয়ললিতার' বিরুদ্ধে। কঙ্গনার কয়েকটি টুইট কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে শুরু করেছিল। এই টুইটে তিনি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় অস্ত্র হিসেবে দাবি করেছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই কঙ্গনা রানাওয়াত কিন্তু বলি টাউনের কন্ট্রোভার্সি কুইন হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত। সুশান্তের মৃত্যু হোক, কিংবা ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে কোন প্রচার, সবক্ষেত্রেই কঙ্গনা রানাওয়াত একেবারে সামনের সারিতে এসে দাঁড়ান। কিছুদিন আগে শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে, শুধু এই প্রথম নয় এর আগেও একের পর এক টুইট করে তিনি আলোড়িত করেছিলেন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কিন্তু, বাংলাতে কঙ্গনার টুইট কিছুটা বুমেরাং হয়ে গেল বলে মনে হচ্ছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তিনি। একাধিকবার কৃষক আন্দোলনের সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন কঙ্গনা। কিন্তু এই মোদি প্রীতি, বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে হুংকার দিয়েছেন সুমিত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কঙ্গনা নিজের টুইটারে লিখেছিলেন, "বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় শক্তি। আমি যে ট্রেন্ড দেখছি তাতে বাংলার হিন্দুরা মেজরিটিতে নেই। গোটা ভারতবর্ষের তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সব থেকে গরিব আর বঞ্চিত। আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে, খুব ভালো।" বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পরে কঙ্গনা রানাওয়াত কিছুটা আক্রোশের বশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে টুইট করে বসেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে পুলিশি মামলা প্রমাণ করে দিল মোদি স্তুতি করে নিজেকে দেশভক্ত হিসাবে দাবি করলেও বাংলায় এখনো শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।