একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে রীতিমতো মুখ থুবরে পড়েছে গোটা গেরুয়া শিবির। তারমধ্যে বিজেপি একঝাঁক তারকা প্রার্থী নিলেও হিরণ ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ। এই প্রসঙ্গ তুলে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায় বিজেপি তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার ও তনুশ্রী চক্রবর্তীকে "নগরীর নটী" বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি চলতি বছরের দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সাথে ৩ অভিনেত্রীর রং খেলার প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেছেন, "বিজেপির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে ওইদিনের ছবি ও ভিডিও যথেষ্ট। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ সহ দলের প্রথম সারির নেতারা কেন এরকম প্রার্থী দাঁড় করালো যাদের কোনো রাজনৈতিক শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা নেই?" অবশ্য এমন কটাক্ষের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক, তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান ও বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র।
অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক সরাসরি নিজের সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "আমাদের পেশা নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে তার প্রতিবাদ আমি জানাবো। বিশেষ করে পায়েল, পার্নো এবং শ্রাবন্তীকে বিজেপি যেভাবে কটাক্ষ করেছে তা সত্যি নিন্দনীয়।" সেই সাথে তিনি এও জানিয়েছেন যে ওইদিন অভিনেতারা মিলে দোল খেললে এরকম কটাক্ষ শুনতে হতো না ওদের। ওদের হয়তো ওরকম কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়াই ভালো ছিল।
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান তাঁর সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং বলেছেন, "আমি বরাবর বলে এসেছি বিজেপি নারীর প্রধান শত্রু। এই দল কখনই বাংলার মেয়েদের সম্মান দেয় না। এখন দেয় না এবং ভবিষ্যতেও কখনো দিতে পারবে না। মেয়েদেরকে ওরা এই ভাবেই দেখে। মেয়েদের যে সম্মান করা উচিত এই শিক্ষাটাই ওদের মধ্যে নেই। যদি থাকত তাহলে যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে এসে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের কথা বলতে পারতো না।"
এছাড়া বাম সমর্থক টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র প্রথমে এই বিষয়ে কোন কথা বলতে না চাইলেও শেষে তিনি বলেছেন, "ওরা (শ্রাবন্তী, তনুশ্রী, পায়েল) জানতো গেরুয়া শিবির নারীদের কি চোখে দেখে। তার পরেও গিয়েছিল কেন বিজেপিতে যোগ দিতে! নিজেদের অপমানের রাস্তা নিজেরাই তৈরি করেছে। ওকে আমার কিছু বলার নেই।" এছাড়াও শেষে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, "তথাগত রায় বলছেন যে অভিনেত্রীরা বিজেপির টাকা উড়িয়ে নৌকা বিলাস করেছে। তাহলে তার কথাতেই এটা প্রমাণ হচ্ছে যে গেরুয়া শিবির তারকা প্রার্থী টাকা দিয়ে কিনেছে। আজ রাগের চোটে সেই কথাতে সিলমোহর দিয়ে দিলেন তাদেরই নেতা।"