জাভেদ আখতার (Javed Akhtar), যাঁর প্রদত্ত সুরের ছন্দে মেতে ওঠে বিশ্ববাসী। একাধারে গীতিকার, কবি এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার বলিউডের এক ভিতের নাম। সম্প্রতি তাঁকে বলিউডের চলতি ট্রেন্ড (Trend), 'বয়কট' নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেছে। তাঁর বয়ানে, এই ট্রেন্ডটি নিছকই সময় অপচয় করা, যার আক্ষরিক অর্থেই কোনও মূল্য বা প্রভাব নেই।
২০২০ তে যখন সারা বিশ্ব অতিমারীর গ্রাসে নাজেহাল, তখনই বিভিন্ন বিতর্কের জটলায় জড়িয়ে পড়ে বলিউড। উঠে আসে বলিউডের স্বজনপোষণ নীতির (Nepotism) কালো দিক। সিনেমাপ্রেমীরা ভাগ হয়ে যান দুভাগে। যার একভাগ কেবল সমর্থন করে গেছে বলিউডকে বয়কট করার দাবিকে। যার রেশ এখনও ছেয়ে আছে বি-টাউন জুড়ে। তাই আমির খান (Amir Khan), অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) মত তাবড় অভিনেতাদের ছবিও পড়ছে মুখ থুবড়ে। সম্প্রতি ২০২২ এর একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সাংবাদিক সন্মেলনে জাভেদ আখতারকে এই ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গেছে। তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এটা কেবল একটি সময় অপচয়ের বাহানা! কোনও ছবি তার নিজস্ব দোষ বা গুনে কদর পাবে, যতই এমন বয়কটের ডাক জনতা দিক, তাতে ছবির আদতে কোনও সমস্যাই হয় না। তিনি আরও যোগ করেছেন, ছবি ভালো হলে নিজের গুণেই ঠিক হবে, আর খারাপ হলে সেটা ছবির দোষ। তা বলে এমন নয় যে দর্শক বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বলেই ছবি চলেনি! জনগণের সময় অপচয় করে এই ট্রেন্ডে সামিল হওয়া কোনও প্রভাবই ফেলবে না ছবিতে।
সম্প্রতি অনেক অভিনেতাই ঠিক এই ধরনেরই মন্তব্য করছেন বলিউডের সাম্প্রতিক প্রবাহ নিয়ে। কেউই গুরুত্ব দিচ্ছেন না 'বয়কট বলিউড' (Boycott Bollywood) ট্রেন্ডকে। অনুপম খের (Anupam Kher) থেকে অক্ষয় কুমার, স্বরা ভাস্কর (Swara Bhasker), সকলেই একই সুরে সরব হয়েছেন। সকলেই শিকার করেছেন এই ট্রেন্ডটি 'ফাঁপা'। এমনকি অক্ষয় কুমার তাঁর ছবি না চলা নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি স্বীকার করেছেন যে, সব দোষ তাঁর। তাঁর অভিনীত ছবি সাফল্য না পেলে, সে দায় খোদ অভিনেতারই। অপরদিকে স্বরা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বলিউড বিদ্বেষী মানুষের অভাব নেই, বলিউডকে ধ্বংস করতেই তাঁরা অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বলিউড খুব শীঘ্রই সমস্ত জট কাটিয়ে, আরও উন্নতির শিখরে এগিয়ে যাবে।