দুবাইয়ে একটি শোতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। কিন্তু অঘটন ঘটল মুম্বাই বিমানবন্দরে। নিজের শোতে যেতে পারলেন না তিনি। তাঁকে মুম্বাই বিমানবন্দরে আটকে দেন ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং তার জন্য তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি। আসলে অতিসম্প্রতি ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার একটি মামলায় অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। তাই ইডি তারকা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে। সেইজন্য তাঁকে আজকে দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে উড়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
আসলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে। সেই তালিকাতেই রয়েছেন তারকা অভিনেত্রী। অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর নাকি জ্যাকলিনকে টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেই লেনদেনের কিছু তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। দিল্লি পুলিশের ইকনোমিক অফেন্সেস উইং কিছুদিন আগেই সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল। পুলিশ তাঁর চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লক্ষ টাকা এবং ২ কেজি সোনা ও ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল।
তারপর থেকেই এই মামলায় নাম জড়িয়েছিলেন তারকা অভিনেত্রী। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট এর নিরিখে বয়ান রেকর্ড করে। তবে তখন অভিনেত্রী শুধুমাত্র সাক্ষী হিসেবে ইডি দপ্তরে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। তবে এই মামলায় মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ চুম্বনের ছবি যা কিছুদিন আগেই নেটদুনিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছিল। সেই সমস্ত ছবির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে চলতি বছরের এপ্রিল জুন মাস নাগাদ জ্যাকলিনের সাথে সুকেশের প্রায় ৪ বার দেখা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সুকেশের আইনজীবী দাবি করেছেন যে তাঁর মক্কেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তারকা অভিনেত্রীর। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ।