ঠিক একটা মাস আগের কথা, যখন ভরা মাঠে রমরমিয়ে চলছিল বিজেপির প্রচারসভা। বাইরে থেকেও বারংবার প্রচারে আসছিলেন বহু খ্যাতনামা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। সেই সময় অধিকাংশ দলই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের আশা দেখতেই নানান হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যার ফলে প্রবল বির্তকে জড়াতে হয়েছিল। যেমন শিল্পীদের অপমান করে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলে রগড়ে দেব"। অথচ তাঁদের দলেই রুদ্রনীল ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, হিরন চক্রবর্তী, যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, অঞ্জনা বসু, পার্ণো মিত্র ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মতোন প্রার্থীদের ভীড় ছিল।
দিলীপবাবু এমন মন্তব্য করে যদিও শান্তি পাননি, পরক্ষণেই নির্বাচনের আগে ‘নিজের মতে নিজের গান’ বেঁধে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, দেবলীনা মুখোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন সহ এক ঝাঁক শিল্পী। যদিও অনির্বাণের মন্তব্য ছিল, তিনি কাউকে উদ্দেশ্য করে গানটি লেখেননি। এটি গতবছরের গান, এবছর প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরে অবশ্য পাল্টা গান বেঁধেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে সকল গান, সকল অভিযোগের দিন শেষ। খেলাও শেষ, চূড়ান্ত পর্যায়ের ফল ঘোষণার পর অবশেষে তৃতীয়বারের জন্য নবান্ন দখল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এতেই বেজায় খুশি শিল্পীমহল। মনে হয়, এদিনের অপেক্ষাতেই ছিলেন তাঁরা। এ বার পাল্টা ‘রগড়ানো’র দিন শিল্পীদের। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দু'টি পোস্ট ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে নজর কেড়েছে। যার একটিতে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, ‘আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক’। আর অন্য এক পোষ্টে 'আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব।’ এই গানের লাইন উঠে এসেছে। পাশাপাশি অভিনেতার কুর্নিশ, ‘বেঁচে থাকুক রাজ্যবাসী। দীর্ঘজীবী হোক বাংলার মানব সমাজ। মানুষ আবারও প্রমাণ করে দিল, স্বাধীনতা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ’। পরমব্রত'র এই পোস্টের সমর্থন করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পাল্টা ট্যুইটে তাঁর সমর্থন, ‘হোক হোক’!
এদিকে বাদ যাননি মিমি চক্রবর্তী ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দিলীপ বাবাকে কটাক্ষ করে তাঁদের মত, "আমরা আজকে একটু বারমুডা পরব না?।"