উইকিপিডিয়া জানান দিচ্ছে আজ ৩৩-এ পা দিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Tollywood Actress Mimi Chakraborty)।
সোশ্যাল মিডিয়া ভরেছে তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছায়। নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। শেয়ার করছেন একের পর এক অনুগামীর শুভেচ্ছা বার্তা, জানাচ্ছেন ধন্যবাদ। বর্তমানে একাধিক ফ্যানপেজ এবং প্রচুর জনপ্রিয়তার সঙ্গে তিন মিলিয়ন ফলোয়ার্স নিয়ে সগৌরবে চলছে মিমির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল।
শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নন। সাংসদ হিসেবেও মিমির অনুগামী সংখ্যা কম নয় বটে। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে জন্ম মিমির। তবে তাঁর শৈশব কেটেছে অরুনাচল-প্রদেশের তিরাপ জেলার দেওমালি শহরে। যদিও পরবর্তীতে ফের জলপাইগুড়ির পৈত্রিক বাড়িতে চলে আসেন তিনি।
এরপর সেখানেই একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতায় আসেন মিমি। ২০০৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজিতে স্নাতক হন তিনি। তবে মিমিকে এখন অভিনেত্রী হিসেবে দেখলেও, অভিনয় করার আগে 'ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া'তে একজন মডেল হিসেবে দেখা গিয়েছিল। এরপর 'চ্যাম্পিয়ন' ছবিতে গৌণ ভূমিকায় অভিনয় করেন মিমি।
পরে ঋতুপর্ণ ঘোষের 'গানের ওপারে' ধারাবাহিকে এক্কেবারে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন মিমি। 'পুপে' চরিত্রে অভিনয়ের পরে আর তাঁকে পিছনে ফিরে যেতে হয়নি। পরে ৭ই ডিসেম্বর, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'বাপি বাড়ি যা' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু। এরপর 'বোঝেনা সে বোঝেনা', 'প্রলয়', 'গল্প হলেও সত্যি', 'বাঙালী বাবু ইংলিশ মেম' এবং 'শুধু তোমারই জন্য', 'এসওএস কলকাতা', 'গ্যাংস্টার', 'টোটাল দাদাগিরি' সহ আরও একাধিক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
শেষে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে যাদবপুর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেও যান তিনি। কাজেই বর্তমানে তিনি যাদবপুর লোকসভা আসনের এমপি।
এই ছিল মিমির চেনা যাত্রাপথ। অবশ্যই তা এতটা সহজ ছিল না। এত সব কিছু খুব সময়ে অর্জন করতে কম ঝক্কি হয়নি। নিজের ইচ্ছা, কাজ করার ক্ষমতা, সৎ ব্যবহার এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এসব সম্ভব হত না। মিমির জীবনেও কম সমস্যা আসেনি, তবে সবটাই নিজের পরিশ্রমের দ্বারা পার করেছেন তিনি। জন্মদিন ভালো কাটুক অভিনেত্রীর। রইল শুভেচ্ছা।