সোমবার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার এনসিবি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল আদালত। মুম্বাইয়ের একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশে আগামী ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল হেফাজতের মেয়াদ। মাদককাণ্ডে আটক করা আরও ৫ অভিযুক্তকেও ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৩ রা অক্টোবর ক্রুজ জাহাজে মাদককাণ্ডের অভিযোগে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেফতার করে আরিয়ান খান (২৩), আরবাজ মার্চেন্ট (২৬) এবং মুনমুন ধামেচা (৩৯)কে। এদিন মূল অভিযুক্ত তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয়। এনসিবির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, কেন্দ্রীয় সংস্থাটি মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রুজ টার্মিনাল থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম চরস, ২২ টি এমডিএমএ ট্যাবলেট এবং নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্তদের সাথে মাদক প্রদানকারীদের সরাসরি সম্পর্ক ছিল। একই কারনে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, আরিয়ানের মোবাইল ফোন থেকেও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যের হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানদের এনসিবি হেফাজতের দাবী জানান তিনি।
যদিও আরিয়ানের তরফের আইনজীবী, সতিশ মানেশিণ্ডে, অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আরিয়ানের কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি। যাবতীয় মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে, তার সবই প্রমোদতরী থেকেই প্রাপ্ত। তিনি এও বলেন, অভিযোগের সাথে শাহরুখ পুত্রের কোনও আঁতাত নেই।
দুই পক্ষের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুনে বিচারপতি আর এম নিরলেকর জানান, ‘এক্ষেত্রে তদন্ত সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজত বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে আদালত’।
উল্লেখ্য, একই কাণ্ডে আরও যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি, তাঁরা হলেন – নূপুর সরিকা, ইস্মিত সিং, মোহাক জয়সাওয়াল, ভিক্রান্ত ছোকের এবং গোমিত চোপড়া। এঁদেরকেও আজ আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচ অভিযুক্তের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজত চায় এনসিবি। তবে এই পাঁচজনকেও ৭ অক্টোবর পর্যন্তই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০(বি), ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।