গতকাল নির্বাচনে ভোট গণনার শুরুতে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পট পরিবর্তন করে শেষ হাসি হাসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। বিজেপি তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু ঠিক তার পরেই টলি অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের পুরনো ক্ষোভ উগরে দেন। আসলে ২০০৭ সালে রুদ্রনীল ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে ভরসা চট্টোপাধ্যায় মিচকে শয়তান! এরপর গতকাল ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় পুরনো রাগ উগরে দিয়ে বলেছেন, "আমার সঙ্গে মাত্র একটি কাজ করি রুদ্রনীল বুঝে গিয়েছিল আমি মিচকে শয়তান। তারপর সে সংবাদমাধ্যমে ঢেঁড়া পিটিয়ে বলেছিল। এতদিন আমি সামাজিক মাধ্যমে কিছু বলিনি। তবে আজ বলবো। আমি আর যাই হই তোর মত ধান্দাবাজ নই। তুই বড় মাপের অভিনেতা। কিন্তু জানিস তো, অভিনেতা হোস বা নেতা; আগে ভালো মানুষ হতে হয়।"
এছাড়াও এদিন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের করে দেওয়া প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি কবিতা স্বরে দিলীপ ঘোষকে "দিলীপ জেঠু" বলে সম্বোধন করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, "উনি শিল্পীদের রগড়ে দেবে বলেছিলেন না? এবার তো ওকে শিল্পীদের রগড়ানি খেতেই হবে।"
অন্যদিকে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও টলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জি একই সূত্রে রুদ্রনীল ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি রুদ্রনীল অভিনীত "ভিঞ্চি দা" সিনেমা থেকে রুদ্রনীলের বলা একটি সংলাপ তুলে এনেছেন। এই সংলাপে বলা হয়েছে, "অন্যকে রগড়াতে গিয়ে নিজেই কখন রগড়ে যাবেন! ধরতে পারবেন না।" এর পাশে দিলীপ ঘোষ এর মুখ বসিয়ে একটি কান্নার ইমোজি দিয়েছেন তিনি। সেইসাথে কৌতুক করে ক্যাপশন দিয়েছেন, "জানি, চারিদিকে মহামারীর জন্য কঠিন সময় চলছে। কিন্তু একজন সাধারন শিল্পী হিসেবে এটা শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।"