'সহবাস', স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতে ঝগড়া, অভিমান, মারপিট, পাগলামির সঙ্গে প্রেম পর্যন্ত হয়ে যায়! আর বিয়ে! বিয়ে না সহবাস, এই তর্ক নিয়েই এই যুগের প্রজন্ম গুছিয়ে নিচ্ছে নিজেদের মত তাঁদের আগামীকে। ঠিক যেভাবে নিজেদের গোছাতে চেয়েছে নীল এবং টুসি। চরিত্র দুটিতে অভিনয় করছেন অনুভব কাঞ্জিলাল (Anubhav Kanjilal) এবং ইশা সাহা (Ishaa Saha)। তাঁদের এই অবিবাহিত সহবাসকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে, অঞ্জন কাঞ্জিলালের (Anjan Kanjilal) ছবির গল্প 'সহবাসে' (Sahobashe)।
বাইরে থেকে ভবিষ্যত গড়বার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতা শহরে পা রাখে টুসি। অত্যধিক ভাড়ার জন্য, বাড়ি ভাগাভাগি করে থাকবে বলে তাঁর সঙ্গ দেয় নীল। কারুর কাছে তাঁরা হয়ে ওঠেন কেবল 'বন্ধু', অথবা কারুর কাছে 'ভাই-বোন'। অপরিচিতদের কাছে পাড় পেলেও, পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায় তাঁরা। বিবাহিত না হয়েও, একসঙ্গে থাকা মধ্যবিত্ত সংস্কৃতিতে 'বেহায়াপোনা'। একসঙ্গে থাকতে থাকতে যে অন্তরঙ্গতা নীল এবং টুসির মধ্যে প্রাণ পায়, তাতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় সমাজের চোখ রাঙানি। কি হবে তারপর? তাঁরা কি পারবে আগের প্রজন্মের সঙ্গে এই সংঘাতে নিজেদের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে? নাকি কাপুরুষের মত মুখ লোকাবে মায়ের বাধ্য সন্তান হয়ে আঁচলের তলায়? তার জন্য অবশ্যই দেখতে হবে ছবিটি।
সমাজের খুব 'জেনুইন' এক প্রতিঘাত নিয়ে এই ছবির ভিত গড়ে উঠেছে। বিয়েই এখনকার প্রজন্মের লক্ষ্য নয়, আগে একে অপরকে চেনা, ভবিষ্যতকে ঠিকমত প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের লক্ষ্য। তাই কেউ 'সহবাসে' আগ্রহী হলেই, সমাজ রে-রে করে ওঠে। এই ছবিতে বিশেষ ভূমিকায় আছেন রাহুল ব্যানার্জী, সায়নী ঘোষ। এছাড়াও শুভাশীষ মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, তুলিকা বসু, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ অভিনেতারা এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু। মূল্যবোধ, আদর্শ, ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, এবং চির নবীন-প্রবীণ দ্বন্দই এই ছবির উপজীব্য। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।