কেটে গেছে কুড়িটা বছর। তখন ইন্টারনেট, ফোনের যুগ না হলেও, নব্বই দশকের প্রত্যেক যুবক যুবতীর মন জুড়ে ছিল 'সাথী' (Saathi) ছবির সেই যৌবনের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণকে উথাল পাথাল করে দেওয়া গান! 'ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও..' হয়ে উঠেছিল নব্বইয়ের প্রেমিক হৃদয়ের কাতর আকুতি। আজ সেই ছবিরই কুড়ি বছর সম্পূর্ন হল। আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন ছবির মুখ্য অভিনেতা জিৎ (Jeet), এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র (Priyanka Upendra)।
জিতের বাংলা ছবিতে অভিষেক ঘটায় 'সাথী'। চোখে সঙ্গীত শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিজয়ের জীবন সংগ্রাম, তখন সেই দশকের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে। প্রথম ছবিতেই জিত হয়ে ওঠেন ঘরের ছেলে। ছবিতে তাঁর গানের অন্ধ ভক্ত হয়ে ওঠেন সোনালী (প্রিয়াঙ্কা)। কিন্তু প্রিয় সঙ্গীত শিল্পীকে তাঁর দর্শন হয়না। যখন হয়, তখনই দুজনের জীবনের স্রোতে ভাটা নেমে আসে। দুর্ঘটনাবশত বিজয় অনিচ্ছাকৃভাবে সোনালীকে আঘাত করে, যার ফলে সোনালী অন্ধ হয়ে যায়। বিজয় কেবল তাঁর চোখে হয়ে ওঠে 'খুনি'। এরই মাঝে গল্পে আসে বিভিন্ন ক্লাইম্যাক্স। বিজয়ের মায়ের মৃত্যু, বিজয়ের নিবেদন কিডনি বিক্রি করে সোনালীর চোখের অপারেশনে টাকা জোগাড়, সোনালীর গায়িকা হয়ে ওঠা, এবং ভুল বিচারে বিজয়ের সশ্রম কারাদণ্ড লাভ। সোনালী জানতে পারেনি পুনরায় তাঁর চোখের আলো ফিরে পাওয়ার উৎস স্বয়ং বিজয়! ছবির শেষে তাঁদের মিলন হয়, 'ও বন্ধু..' গানটিকে কেন্দ্র করেই।
এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন হরনাথ চক্রবর্তী। রঞ্জিত মল্লিক, অনামিকা সাহা, কাঞ্চন মল্লিকসহ অনেক নামী কলাকুশলীর উপস্থিতি ছিল ছবিতে। যদিও একটি তামিল ছবিকে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছিল এইখানে। কিন্তু তখন সময় এত বহুমুখী ছিলনা। তাই এই ছবিকে কেন্দ্র করেই উপচে পড়ে আবেগের জোয়ার। যার রেশ এখনও উপভোগ করে যাচ্ছেন ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীরা।