অভিনয়ের গ্রাফ নয়, বিতর্কের সপ্তম সুরই চড়াও হয়েছে বারংবার তাঁর ওপর। কখনও ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বিয়ে বা বিচ্ছেদ, কখনও রাজনৈতিক তরজা। যিনি খুব সহজভাবেই হতে পারতেন, টলি সাম্রাজ্যের রানী, তাঁকে তাঁর যোগ্য স্থান পাওয়ানো তো দুর, ব্যাক্তিগত জীবনের কাঁটা ছেঁড়ায় বারবার বিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তিনিও কম যান না। সকল কাঁটাকে পাপড়িতে পরিণত করে, সেই গোলাপময় গালিচার ওপর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে, তিনি পরিস্থিতি জয় করেছেন। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীর (Srabanti Chatterjee) সেই প্রানবন্ত বহিঃপ্রকাশ, বা শিশুর মত সারল্যই পাথেয় হয়ে ওঠে বহু মানুষের কাছে।
অন্যান্য আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতই তিনিও ভালো থাকতে চান। খোলা আকাশের নিচে তিনিও মুক্তির আনন্দে উন্মীলিত হন। তাই তো বারবার সকল চর্চা থেকে এড়িয়ে তিনি পাড়ি দেন তাঁর 'সব পেয়েছির দেশে'। যদিও ভ্রমণের প্রতি বরাবরই শ্রাবন্তী 'দিওয়ানা'। ভ্রমণই তাঁর ভালো থাকার রসদ। প্রায়ই দেখা যায় তাঁকে ভ্রমণ-বিলাসী মুহুর্ত উদযাপন করতে। সম্প্রতি লন্ডনে শ্রাবন্তী ধরা দিয়েছেন, পরিচিত ফুরফুরে আমেজে।
তিনি জানেন, যে ভালো থাকাই জীবনের মূল মন্ত্র, সেই ভালো থাকাই বড় দুষ্কর। না পারিপার্শ্বিকতা নিজে ভালো থাকে, না অন্যকে ভালো থাকতে দেয়। মানুষের বিষাদ বা বিশ্বাস করে নেওয়া 'ভুল' সিদ্ধান্তগুলির জন্য যত পারে তাঁকে কোণঠাসা করে দেয়। কিন্তু শ্রাবন্তী এক ছক ভাঙ্গা মুক্ত বিহঙ্গ। তাঁর নিজের জীবনে তিনি সুখী থাকতে জেনে গেছেন। এবং তিনি পারেনও। তাই তো সকলের উদ্যেশ্যে তাঁর বার্তা, ভালো ভাবুন, ভালো থাকুন (Think Happy be happy)।
অভিনেত্রী এই প্রথম অভিনেতা সাহানির (Om Sahani) সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। তাঁদের আসন্ন ছবি, 'ভয় পেও না' (Bhoy Peyona) মুক্তি পাবে চলতি মাসেই। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি ভৌতিক পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত। সদ্য বিবাহিত দম্পতির জীবনে ঘটে চলে একের পর এক অলৌকিক কার্যাবলী। তাতেই ব্যাঘাত ঘটে তাঁদের স্বাভাবিক দাম্পত্যে। এই ছবিতে সেই নব দম্পতির ভূমিকাতেই আছেন শ্রাবন্তী এবং ওম। ছবির পরিচালনা করেছেন অয়ন দে (Ayan Dey)।