তাঁর ছোট পর্দায় হাতে খড়ি হয় কিশোরী বয়সে, 'ওগো বধূ সুন্দরী' (Ogo Bodhu Sundori) ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকটির নাম, আর তিনি যেন তখনই এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে সখ্য পাতান। একে অপরের পরিপূরক। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য্যতেই মেতে নেই তাঁর অনুগামীরা, প্রাণোচ্ছলময় ঋতাভরীর আন্তরিক সৌন্দর্য্যের জন্য তিনি সকলের কাছে বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছেন। গত ২৬ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। আর বরাবরের মত তাঁর জন্মদিনে সঙ্গী হলেন তাঁর জীবনের ছোট্ট বন্ধুরা।
ঋতাভরী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি স্কুলের দায়িত্ব ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন। জন্মদিনে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে 'ভগবানের আশীর্বাদ' হিসেবে গ্রহণ করলেন মুহূর্তগুলিকে। তাঁর জন্মদিন পালন দেখে যারপরনাই উচ্ছসিত হয়েছে নেট দুনিয়া।
বাচ্চাদের সঙ্গে জন্মদিন পালন ছাড়াও, শুভাকাঙ্খীদের বানানো কেক নিয়ে উচ্ছসিত ঋতাভরী, জন্মদিনের মুহূর্তের সাক্ষী করেছেন তাঁর অনুগামীদের। ছবিতে ঋতাভরী রয়েছেন 'ডিসনি প্রিন্সেস' এর বেশে। হলুদ গাউনে তিনি সত্যিই রাজকন্যা। তবে ছবির সঙ্গে তাঁর বার্তা মন ছুঁয়ে গেছে প্রত্যেক নেট নাগরিকের। ঋতাভরী বরাবরই প্রচলিত স্রোতের বিমুখ। অর্থাৎ তিনি প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে হোক, বা চলে আসা তথাকথিত 'কল্যাণকর' সামাজিক ধ্যান ধারণার বিপরীতে অবস্থান করতে পছন্দ করেন। এবারেও তার বিকল্প হল না। তাঁর বার্তায় তিনি জানান, তিনি নিজেই নিজের রক্ষা করার মত শক্তিশালী, কোনও পুরুষকে তাঁর রক্ষাকবচ হতে লাগবেনা। সমাজে বহমান রূপকথার মত, রাজকন্যার উদ্ধারকারী হিসেবে যেভাবে রাজপুত্রদের প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেই মনোভাব ঋতাভরী বর্জন করেছেন। তাঁর মধ্যে, নিজের রূপকথা নিজের লেখবার মত দৃঢ় চেতনা প্রকাশ পেয়েছে।
ঋতাভরী যেমন তাঁর চরিত্র নির্বাচনে সমাজের শতাব্দী প্রাচীন ধ্যান ধারণাকে খন্ডন করে, আধুনিক মনস্কতার পরিচয় দেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনেও তা কাজে করে দেখিয়ে দেন। সেইজন্য ব্যাক্তিগত দিক থেকে ঋতাভরী হয়ে ওঠেন অনন্যা।