নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য কিনে অন্যকে বিক্রি করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের এনসিবি মুম্বাইয়ের আদালতে এমনই একটি দাবি জানিয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা আবার আরিয়ানের জামিনের শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। এনসিবি যুক্তি দিচ্ছে, শাহরুখ খানের পুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে জানা যাচ্ছে, তিনি নাকি আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রাখতেন। তার সঙ্গেই তার কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ করতেন। অপর অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট এর কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই আরিয়ান নাকি মাদক কিনতেন বলে জানাচ্ছে মুম্বাই এনসিবি।
যদিও আরিয়ানের আইনজীবী বুধবার বলেছেন, "আরিয়ান সেই প্রমোদতরীতে উপস্থিত নাকি ছিলেন না। তার কাছে মাদক কেনার জন্য নগদ কোনো টাকা ছিল না।" তবে শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান কে বর্তমানে আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই জেলের একটি সাধারন কুঠুরিতে আরিয়ানের বাসস্থান হবে। করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরেই আরিয়ানকে ওই জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আর্থার রোড জেলার সুপারিনটেনডেন্ট নিতিন ওয়েচল বলেছেন, " আরিয়ান খান এবং অন্য পাঁচজন আসামিকে আর্থার রোড জেলের একটি কুঠুরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।"
অন্যদিকে বুধবার মুম্বাইয়ের এনসিবির তরফ থেকে আরিয়ান খান এর বিরুদ্ধে একটি উত্তর জমা দেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ আদালতে। সেই উত্তরে এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ান খান সম্পূর্ণরূপে এই মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চলতি মাসে মুম্বাইয়ের এনসিবি গোয়ার একটি প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার করে আরিয়ান খান এবং তার আরও কয়েকজন সঙ্গীসাথী কে। তাদের সাথে নিষিদ্ধ ড্রাগ মিলেছিল বলে এনসিবি সূত্রের খবর। এ ড্রাগ রিপোর্ট আসার পরেই মুম্বাই এনসিবির তরফ থেকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং আরিয়ান খান এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। ইতিমধ্যেই আরিয়ান খান এনসিবি হেফাজতে ১২ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন এবং জেলে রয়েছেন ৭ দিন। আজকে যদি আবার আরিয়ান খানের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তাকে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।